ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিকাশ থেকে লাখ টাকা উধাও, দিশেহারা ব্যবসায়ী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 106

৭১: বিকাশের সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে এজেন্টরাও পড়ছে প্রতারকের খপ্পরে। নিমিশেই উধাও হয়ে যাচ্ছে হাজার থেকে লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট কোম্পানী এবং মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং এই প্রতারক চক্রের সাথে বিকাশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশ আছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে আশুলিয়ায়।

জানা যায়, সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ওষুধ ব্যবসায়ী এনামুল হক ফার্মেসীর পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করেন। প্রতারকের জালে আটকা পড়ে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা খুইয়ে কর্তৃপক্ষর সাথে যোগাযোগ করে কোনো রকম সহযোগীতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই ব্যবসায়ী। উপায়ান্তর না পেয়ে পরে আশুলিয়া থানায় বিকাশের এসআর মো. সালামসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক আশুলিয়ার চানগাঁও এলাকার তাহেরের বাড়িতে ভাড়া থেকে চানগাঁও বাজারে ফার্মেসী দোকানের পাশাপশি বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলে আপনার বিকাশে কিছু এ্যাপস, স্কিনার কোড দেওয়া হবে। সকালে আপনাকে আমাদের এসআর যে সমস্থ ফরম দিয়ে আসছে ওগুলো পুরোণের জন্য আমাকে সহযোগিতা করেন।

অপরিচিত নম্বর হওয়ায় এনামুল তাৎক্ষণিক বিকাশের এসআর মো. সালামের মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জানতে চায়। এসআর সালাম এনামুল কে বলেন, বিকাশের হেড অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিচ্ছে তারা যে তথ্য চায় দিয়ে দেন।

কিছুক্ষণ পর ফের হেড অফিস পরিচয়দানকারী উক্ত নম্বর থেকে ফোন আসলে তাদের কথামত তথ্য দেওয়া হয়। এরপরই এনামুলের বিকাশ একাউন্ট থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। বিকাশের পরিবেশক কর্তৃপক্ষ ও এসআর সালামের দাবি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি হ্যাক হয়েছিল। তবে মোবাইল নাম্বার হ্যাক হওয়ার অজুহাত দেখালেও থানায় অভিযোগ অথবা সাধারণ ডাইরী করেননি।

Tag :

শেয়ার করুন

বিকাশ থেকে লাখ টাকা উধাও, দিশেহারা ব্যবসায়ী

আপডেট টাইম : ০৪:২০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

৭১: বিকাশের সাধারণ গ্রাহক থেকে শুরু করে এজেন্টরাও পড়ছে প্রতারকের খপ্পরে। নিমিশেই উধাও হয়ে যাচ্ছে হাজার থেকে লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট কোম্পানী এবং মোবাইল ব্যাংকিং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং এই প্রতারক চক্রের সাথে বিকাশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর যোগসাজশ আছে বলে দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
এমনি এক ঘটনা ঘটেছে আশুলিয়ায়।

জানা যায়, সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় ওষুধ ব্যবসায়ী এনামুল হক ফার্মেসীর পাশাপাশি বিকাশের ব্যবসা করেন। প্রতারকের জালে আটকা পড়ে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা খুইয়ে কর্তৃপক্ষর সাথে যোগাযোগ করে কোনো রকম সহযোগীতা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন এই ব্যবসায়ী। উপায়ান্তর না পেয়ে পরে আশুলিয়া থানায় বিকাশের এসআর মো. সালামসহ অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক আশুলিয়ার চানগাঁও এলাকার তাহেরের বাড়িতে ভাড়া থেকে চানগাঁও বাজারে ফার্মেসী দোকানের পাশাপশি বিকাশের ব্যবসা করে আসছেন। গত বুধবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলে আপনার বিকাশে কিছু এ্যাপস, স্কিনার কোড দেওয়া হবে। সকালে আপনাকে আমাদের এসআর যে সমস্থ ফরম দিয়ে আসছে ওগুলো পুরোণের জন্য আমাকে সহযোগিতা করেন।

অপরিচিত নম্বর হওয়ায় এনামুল তাৎক্ষণিক বিকাশের এসআর মো. সালামের মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি জানতে চায়। এসআর সালাম এনামুল কে বলেন, বিকাশের হেড অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিচ্ছে তারা যে তথ্য চায় দিয়ে দেন।

কিছুক্ষণ পর ফের হেড অফিস পরিচয়দানকারী উক্ত নম্বর থেকে ফোন আসলে তাদের কথামত তথ্য দেওয়া হয়। এরপরই এনামুলের বিকাশ একাউন্ট থেকে এক লাখ ১৪ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়। বিকাশের পরিবেশক কর্তৃপক্ষ ও এসআর সালামের দাবি তাদের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি হ্যাক হয়েছিল। তবে মোবাইল নাম্বার হ্যাক হওয়ার অজুহাত দেখালেও থানায় অভিযোগ অথবা সাধারণ ডাইরী করেননি।