ঘোড়াঘাটে ১৫ লাখ টাকার মাদক পাচারের চেষ্টা
- আপডেট টাইম : ০৪:২৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অগাস্ট ২০২০
- / 119
৭১: করোনাকালে মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লেও, থেমে নেই মাদক কারবারিদের মাদক পাচার কার্যক্রম। চলমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মাঝে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মাদক জব্দ করেছে থানা পুলিশ ও র্যাব-১৩।
দেশের অন্যতম স্থলবন্দর হিলি। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাঁচার হয়। আর এসব অবৈধ মাদক পাচারের প্রধান রুট হিসেবে মাদক কারবারিদের টার্গেট পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলা। তবে পুলিশ ও র্যাবের তৎপরতায় মাঝে মাঝেই থমকে যায় মাদক পাচারকারীরা।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল, ইয়াবা ও হেরোইন জব্দমূলে নতুন করে ৭টি মাদক মামলা দায়ের করে ৯জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সব আসামিদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫৭২ বোতল ফেনসিডিল, ৩২০ পিচ ইয়াবা ও ১’শ ২২ গ্রাম হেরোইন। যার বর্তমান বাজার মূল্যে দাঁড়ায় ৭ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চালান জব্দ হয়েছে গত জুলাই মাসে। জুলাই মাসেই ৫৭২ বোতল ফেনসিডিল ও ১৫ পিচ ইয়াবা জব্দ করে ৩টি মাদক মামলায় ৪জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার আগে জুন মাসে ১জন আসামিকে গ্রেপ্তার ও ১৮৪ পিচ ইয়াবা জব্দ করে ১টি মাদক মামলা দায়ের করা হয় এবং গত এপ্রিল ও মে মাসে ৪জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে ১’শ ১১ পিচ ইয়াবা জব্দ পূর্বক নতুন করে ৫টি মাদক মামলা দায়ের করে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
অপর দিকে র্যাব-১৩, দিনাজপুর ক্যাম্পের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিল থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ঘোড়াঘাট থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২’শ ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করে ২জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জব্দকৃত ফেনসিডিলের বাজার মূল্যে দাঁড়ায় ৮ লক্ষ ৩ হাজার টাকায়। যার মধ্যে চলতি আগষ্ট মাসে ৮০৩ বোতল ফেন্সিডিল সহ ১ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং গত জুলাই মাসে ৪৪৬ বোতল ফেনসিডিল সহ আরো ১জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে তারা।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিরুল ইসলাম বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় আমরা অত্যান্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছি। করোনা কিংবা অন্য কোন মহামারী! কোন কিছুই আমাদের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্থ করতে পারবে না। এই করোনাকালে আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রেখেছি। করোনা ভাইরাসের কারণে অন্যান্য বছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় চলতি বছরের এই ৬ মাস মাদক পাঁচারের চেষ্ঠা তুলনামূলক কম হয়েছে। তাই মাদক উদ্ধারের পরিমানও কম।
র্যাব-১৩, দিনাজপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনার মাঝেও থেমে নেই মাদক পাঁচার কার্যক্রম। দিনাজপুরের অধিকাংশ উপজেলায় পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্ত থাকায়, এই জেলায় মাদক কারবারীদের আনাগোনা একটু বেশি। মাদক নিমূলে করোনাকালেও র্যাবের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।