ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চোখের সামনে বিলীনের পথে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০
  • / 102

৭১: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদী পাড়ের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। বসতভিটা হারিয়ে অনেকে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন সেতুর পূর্ব পার্শ্ব থেকে একই ওয়ার্ডের পুড়া ছামাদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬০-৭০টি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ পরিবারের বসতভিটা-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে তারা অন্যের জায়গায় পাড়ি জমিয়েছেন।

নদী পাড়ের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া, সোনাব আলী, সুলতান ও খালেকের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হওয়ায় শেষ সম্বল টিন সেটের ঘর নিজ উদ্যোগে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দা মো. জুলহাস মিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এই নদী ভাঙন হচ্ছে এবং আমাদের বাড়িঘর পানিতে চলে যাচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ইনতিয়াজ আলী বলেন, কয়েকদিন আগে পানির স্রোতে আমার ঘরবাড়ি নদীতে চইল্যা গেছে। নিজের জমি হারিয়ে পরিবার নিয়ে এখন কোনো রকম অন্যের জায়গায় বাস করতাছি।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, গত বছর পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এসে আমাদের নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফেলা হয়নি একটিও জিও ব্যাগ। বর্তমানে নদী পাড়ের মানুষজন সহায় সম্বল হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক জানান, ওই এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর সাথে সমন্বয় করে ভাঙনরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

চোখের সামনে বিলীনের পথে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি

আপডেট টাইম : ০৪:১৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

৭১: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদী পাড়ের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। বসতভিটা হারিয়ে অনেকে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

শুক্রবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, পৌর সদরের ৪নং ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন সেতুর পূর্ব পার্শ্ব থেকে একই ওয়ার্ডের পুড়া ছামাদের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬০-৭০টি বাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ পরিবারের বসতভিটা-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে তারা অন্যের জায়গায় পাড়ি জমিয়েছেন।

নদী পাড়ের বাসিন্দা বিল্লাল মিয়া, সোনাব আলী, সুলতান ও খালেকের বসতবাড়ি নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হওয়ায় শেষ সম্বল টিন সেটের ঘর নিজ উদ্যোগে ভাঙন কবলিত এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

ভুক্তভোগী এলাকার বাসিন্দা মো. জুলহাস মিয়া অভিযোগ করে বলেন, অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এই নদী ভাঙন হচ্ছে এবং আমাদের বাড়িঘর পানিতে চলে যাচ্ছে। বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ইনতিয়াজ আলী বলেন, কয়েকদিন আগে পানির স্রোতে আমার ঘরবাড়ি নদীতে চইল্যা গেছে। নিজের জমি হারিয়ে পরিবার নিয়ে এখন কোনো রকম অন্যের জায়গায় বাস করতাছি।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, গত বছর পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এসে আমাদের নদী তীরবর্তী এলাকায় বাঁধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফেলা হয়নি একটিও জিও ব্যাগ। বর্তমানে নদী পাড়ের মানুষজন সহায় সম্বল হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক জানান, ওই এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে। সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর সাথে সমন্বয় করে ভাঙনরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।