ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবশেষে কারাগারে সাহেদ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০
  • / 112

৭১: দীর্ঘদিন রিমান্ডে থাকার পর অবশেষে কারাগারে ঠাই হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের। সর্বশেষ পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাতদিনের রিমান্ড হয় তার।

এর আগে সাতদিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

তারও আগে, গত ১০ আগস্ট সাহেদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাতদিনের রিমান্ডের চারদিন শেষে গত ২০ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে সাতদিনের রিমান্ড শেষ করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক।

এর আগে ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। পরের দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান কর্পোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।

Tag :

শেয়ার করুন

অবশেষে কারাগারে সাহেদ

আপডেট টাইম : ০৫:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

৭১: দীর্ঘদিন রিমান্ডে থাকার পর অবশেষে কারাগারে ঠাই হয়েছে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের। সর্বশেষ পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাতদিনের রিমান্ড হয় তার।

এর আগে সাতদিনের রিমান্ড শেষে সাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।

তারও আগে, গত ১০ আগস্ট সাহেদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সাতদিনের রিমান্ডের চারদিন শেষে গত ২০ আগস্ট তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে সাতদিনের রিমান্ড শেষ করে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন বিচারক।

এর আগে ২৭ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন। পরের দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলে ১৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১১ থেকে ২১ জানুয়ারি সময়ে আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান কর্পোরেট শাখার এক কোটি টাকা (যা সুদাসলসহ ১৫ জুলাই পর্যন্ত স্থিতি দুই কোটি ৭১ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন- পদ্মা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাহী/অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী, বকশীগঞ্জ জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক চিশতি, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ এবং হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইব্রাহিম খলিল।