ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্রীড়াঙ্গনে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:১৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০
  • / 100

৭১: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শুভ সূচনা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন। তিনি ইন্সস্টিউট অব স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।

জাহিদ আহসান রাসেল আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়। বলতে গেলে শূন্যহাতে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।

খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে ‘জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’। দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪ টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা। অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

ফেডারেশনগুলোর সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় ক্রীড়াঙ্গন। বিদেশি ক্রীড়া দল খেলতে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ দলও বিদেশে খেলতে যায়। কয়েকটি দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ক্রীড়াবিদদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়।

ক্রীড়াবিদদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালেই গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।

Tag :

শেয়ার করুন

ক্রীড়াঙ্গনে নবদিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৫:১৯:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ অগাস্ট ২০২০

৭১: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের শুভ সূচনা করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু আজকের বিসিবি, বাফুফে ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠন করেছিলেন। তিনি ইন্সস্টিউট অব স্পোর্টস যা আজকের বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তার গৃহীত এ সকল যুগান্তকারী পদক্ষেপের কারনেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে।

জাহিদ আহসান রাসেল আজ মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রক্তাক্ত যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জিত হলেও তার জন্য বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হয়। বলতে গেলে শূন্যহাতে শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। সেই অবস্থায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি নজর দেওয়ার সুযোগ দেওয়া ছিল খুবই কঠিন। কিন্তু তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ক্রীড়াঙ্গনকে পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু।

খেলাধুলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৯৭২ সালেই যাত্রা শুরু করে ‘জাতীয় ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ সংস্থা’। দুই ধাপে গড়ে তোলা হয় ৩৪ টি জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও সংস্থা। অনুমোদন দেওয়া হয় বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

ফেডারেশনগুলোর সক্রিয়তায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায় ক্রীড়াঙ্গন। বিদেশি ক্রীড়া দল খেলতে আসে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ দলও বিদেশে খেলতে যায়। কয়েকটি দেশের সঙ্গে সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ক্রীড়াবিদদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হয়।

ক্রীড়াবিদদের সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য ১৯৭৫ সালেই গঠন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন।