ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরীর মৃত্যু অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০
  • / 87

৭১: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪) নামে এক  কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দাফন করার সময় বেরিয়ে আসে আসে ঘটনা। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত বাহারুল আলম বাহারকে (২৯) আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরী উপজেলার ১০ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের মেয়ে।

আটক বাহারুল আলম বাহার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আয়ুব আলীম মাষ্টার বাড়ীর হারুন অর রশিদের ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ৩টায় ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আবুল কালামের বসতঘরে।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেন বাদী হয়ে আজ রবিবার সকালে রামগঞ্জ থানায় বাহারুল আলম বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারসহ দুইজনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

থানা সূত্রে ও মামলার বাদী লোকমান জানান, শনিবার বাড়ির সম্পর্ককৃত নাতনি রাবেয়া আক্তার ও তার স্বামী বাহারুল আলম মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। বিকেল ৩টায় আমার সুস্থ মেয়ে হৃদরোগে মারা গেছে বলে আমাদেরকে খবর দিয়ে নিজেরাই ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার লাশ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বাড়ির লোকজনসহ আমার মেয়ের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।

দাফনের কিছুক্ষণ পর লাশ ধোয়ানোর জন্য আসা একই গ্রামের সেলিনা আক্তার (৩৫) ও সেলিনা বেগম (৩০) আমাদেরকে জানান লাশ ধোয়ানের সময় তারা আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নসহ গোপনাঙ্গে রক্ষক্ষরণ হয়েছে বলে জানান।

পরে আমি বিষয়টি বাড়ীর লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তাদের পরামর্শক্রমে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানাই। রাতে এলাকার লোকজনসহ পাহারা বসিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনার মূলহোতা বাহারুল আলম বাহারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত বাহারুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা লোকমান হোসেন আজ রবিবার সকালে বাহারুল আলম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত বাহারুল আলমকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কাজ সম্পন্ন করা হবে।

Tag :

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে কিশোরীর মৃত্যু অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০২:৫৪:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

৭১: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ধর্ষণের শিকার হয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়া (১৪) নামে এক  কিশোরীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দাফন করার সময় বেরিয়ে আসে আসে ঘটনা। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ধর্ষণে অভিযুক্ত বাহারুল আলম বাহারকে (২৯) আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের শিকার কিশোরী উপজেলার ১০ নম্বর ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেনের মেয়ে।

আটক বাহারুল আলম বাহার ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আয়ুব আলীম মাষ্টার বাড়ীর হারুন অর রশিদের ছেলে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল ৩টায় ভাটরা ইউনিয়নের বাউরখাড়া গ্রামের আবুল কালামের বসতঘরে।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা গ্রাম পুলিশ সদস্য লোকমান হোসেন বাদী হয়ে আজ রবিবার সকালে রামগঞ্জ থানায় বাহারুল আলম বাহার ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারসহ দুইজনকে আসামি করে একটি এজাহার দায়ের করেছেন।

থানা সূত্রে ও মামলার বাদী লোকমান জানান, শনিবার বাড়ির সম্পর্ককৃত নাতনি রাবেয়া আক্তার ও তার স্বামী বাহারুল আলম মেয়ে ফাতেমা আক্তার প্রিয়াকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। বিকেল ৩টায় আমার সুস্থ মেয়ে হৃদরোগে মারা গেছে বলে আমাদেরকে খবর দিয়ে নিজেরাই ফাতেমা আক্তার প্রিয়ার লাশ আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বাড়ির লোকজনসহ আমার মেয়ের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করি।

দাফনের কিছুক্ষণ পর লাশ ধোয়ানোর জন্য আসা একই গ্রামের সেলিনা আক্তার (৩৫) ও সেলিনা বেগম (৩০) আমাদেরকে জানান লাশ ধোয়ানের সময় তারা আমার মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্নসহ গোপনাঙ্গে রক্ষক্ষরণ হয়েছে বলে জানান।

পরে আমি বিষয়টি বাড়ীর লোকজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করলে তাদের পরামর্শক্রমে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানাই। রাতে এলাকার লোকজনসহ পাহারা বসিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনার মূলহোতা বাহারুল আলম বাহারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঘটনার সাথে জড়িত বাহারুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকি আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে কিশোরীর বাবা লোকমান হোসেন আজ রবিবার সকালে বাহারুল আলম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে আসামি করে থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত বাহারুল আলমকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী কাজ সম্পন্ন করা হবে।