ঢাকা ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চেয়ারম্যানের ঘরে মিলল ২৭ বস্তা ভিজিএফের চাল

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০
  • / 107

৭১: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতাহের মিয়ার বাড়ি থেকে ভিজিএফ ২৭ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় জনগণ ও উপজেলার ট্যাগ অফিসের নির্দেশে চেয়ারম্যানের নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা চালের বস্তাগুলো উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ২৭ বস্তা চাল বিতরণের জন্য পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সরকারি চাল আত্মসাতে চেষ্টাকারী ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে মাথা পিছু বিনামূলে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন। মুরাদপুর ইউনিয়নে ৭২৭ জন দরিদ্র অসহায় লোকজনদের চাল দেয়ার তালিকা তৈরী করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের শুধুতেই ইউনিয়নের গোদামে উপজেলা ট্যাগ অফিসার গননা করে দেখেন ২৭ বস্তা চাল নেই।

এ সময় তিনি এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়া ও ইউপি সচিব শামছুল ইসলাম খন্দকারকে জিজ্ঞাসবাদ করলে তারা সন্দেহজনক আচারণ করেন।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, ইউপি সচিবের যোগসাজসে ২৭ বস্তা চাল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি রায়পুর গ্রামের নিয়ে রেখেছেন বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা ট্যাগ অফিসার আতিক মোল্লা ও মেম্বাররা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চাল এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বাড়ি থেকে চাল ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন। পরে ওই চালগুলো জব্ধ করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা ট্যাগ অফিসার আতিক মোল্লা জানান, মুরাদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়া তালুকদার ভিজিএফ এর ২৭ বস্তা চাল আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে নিয়ে রেখে ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে আমি তাকে চালের বস্তাগুলো বের করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করি। এক পর্যায়ে চাপের মুখে সে স্বীকার করে চালের বস্তাগুলো তার বাড়িতে রয়েছে স্বীকার করেন। সেই চালের বস্তাগুলো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে আলাপে তিনি জানান আমি লেখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা নিবো। এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ২৯ জুলাই বুধবার এক অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে ট্যাগ অফিসার ও ইউনিয়নের সদস্যরা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

চেয়ারম্যানের ঘরে মিলল ২৭ বস্তা ভিজিএফের চাল

আপডেট টাইম : ০৪:৩৩:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জুলাই ২০২০

৭১: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতাহের মিয়ার বাড়ি থেকে ভিজিএফ ২৭ বস্তা চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় জনগণ ও উপজেলার ট্যাগ অফিসের নির্দেশে চেয়ারম্যানের নিজের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা চালের বস্তাগুলো উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত ২৭ বস্তা চাল বিতরণের জন্য পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে সরকারি চাল আত্মসাতে চেষ্টাকারী ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের প্রত্যেক ইউনিয়নে মাথা পিছু বিনামূলে ১০ কেজি করে ভিজিএফ চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত নেন। মুরাদপুর ইউনিয়নে ৭২৭ জন দরিদ্র অসহায় লোকজনদের চাল দেয়ার তালিকা তৈরী করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চাল বিতরণের শুধুতেই ইউনিয়নের গোদামে উপজেলা ট্যাগ অফিসার গননা করে দেখেন ২৭ বস্তা চাল নেই।

এ সময় তিনি এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়া ও ইউপি সচিব শামছুল ইসলাম খন্দকারকে জিজ্ঞাসবাদ করলে তারা সন্দেহজনক আচারণ করেন।

এ সময় স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, ইউপি সচিবের যোগসাজসে ২৭ বস্তা চাল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিজ বাড়ি রায়পুর গ্রামের নিয়ে রেখেছেন বলে জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা ট্যাগ অফিসার আতিক মোল্লা ও মেম্বাররা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে চাল এনে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার বাড়ি থেকে চাল ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হন। পরে ওই চালগুলো জব্ধ করা হয়।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা ট্যাগ অফিসার আতিক মোল্লা জানান, মুরাদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোতাহার মিয়া তালুকদার ভিজিএফ এর ২৭ বস্তা চাল আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে তার বাড়িতে নিয়ে রেখে ছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে আমি তাকে চালের বস্তাগুলো বের করে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করি। এক পর্যায়ে চাপের মুখে সে স্বীকার করে চালের বস্তাগুলো তার বাড়িতে রয়েছে স্বীকার করেন। সেই চালের বস্তাগুলো ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, চালের বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সাথে আলাপে তিনি জানান আমি লেখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্হা নিবো। এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় ২৯ জুলাই বুধবার এক অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি চলছে।

বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে ট্যাগ অফিসার ও ইউনিয়নের সদস্যরা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন।