বিশ্বকাপ পিছাতে হতাশ বাশার
- আপডেট টাইম : ০৪:২২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০২০
- / 105
৭১: করোনাভাইরাসেই কেটে যাচ্ছে সময়। বছরের প্রায় সাত মাস শেষ হবার পথে। বছর শেষ হতে বাকি আরও ৫ মাস। মুশফিক-তামিমদের খেলা বন্ধ সেই মার্চ থেকে, ঘরোয়া এবং আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট সব খেলাই বন্ধ। কবে নাগাদ ক্রিকেট শুরু হবে তারও কোন ঠিক ঠিকানা নেই। দিনকে দিন বাড়ছে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা। ভাইরাস কমার কোন সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না।
তাই কবে নাগাদ খেলা মাঠে গড়াবে সে ভাবনা পেয়ে বসেছে ক্রিকেটারদের। আক্ষেপে মরছেন দেশের ক্রিকেটাররা। নিজস্ব উদ্যোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকে মাঠের অনুশীলন শুরু করলেও ভয় আর আতঙ্ক দূর হচ্ছে না। সার্বক্ষনিক একটা ভয় তাদের তাড়া করছেই। পাশাপাশি দীর্ঘসময় ক্রিকেট থেকে বাহিরে থাকার কষ্টটাও তাদের পোড়াচ্ছে। যা এশিয়া এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্বপ্নে বিভোর ছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সেটাও বন্ধ হয়ে গেছে। কবে নাগাদ যে মাঠে গড়াবে ক্রিকেট, সেই স্বপ্নে বিভোর ক্রিকেটাররা।
তবে এতে যতটা না কষ্ট তামিম,মুশফিকদের ততটা নেই সাকিব আল হাসানে। তাকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করাটা যেন প্রকৃতিও মানতে নারাজ। তার শাস্তির পুরো সময়টাই যে গোটা পৃথিবী লক ডাউনে। ইংল্যান্ড ছাড়া কোথাও মাঠে গড়ায়নি ক্রিকেট। তবে এশিয়া কাপ ও টি-টিয়োন্টি বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়াতে, সাকিব এই দুটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন। শাস্তি পেয়েও তামিমদের সঙ্গে ক্রিকেটের পুনযাত্রাটা একই রয়েগেল তার। করোনায় বাংলাদেশ অনেকগুলো সিরিজ মিস করলেও মিস হয়নি সাকিবের। যে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ ছিল না তার। সেটাও এখন খেলার সুযোগ পেয়ে গেছেন বৈশ্বিক এই দুই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যাওয়ায়। এদিক থেকে বাংলাদেশ সেরা অল রাউন্ডারকে ভাগ্যবানই বলা যায়।
যদিও লম্বা সময় ক্রিকেট বন্ধ থাকায় বিসিবিসহ অন্যান্য ক্রিকেটারতের মহা খতি হয়ে গেছে। একের পর এক সিরিজ-টুর্নামেন্ট স্থগিতের ঘোষণা ‘সর্বনাশ’ হয়ে আসছে ক্রিকেটের। এ জন্য ক্রিকেটাররাই শুধু আক্ষেপের আগুনে পুড়ছেন না, কষ্ট পাচ্ছে নির্বাচক সাবেক জাতীয় দলের অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমনও।
বিশ্বকাপ স্থগিত হওয়ায় সাবেক এই অধিনায়ক মোটেও খুশি হতে পারেন নি। তিনি বলেন, “বিশ্বকাপ এবার হচ্ছে না, সেটা হয়তো সাকিবের জন্য ভালো হয়েছে। কিন্তু পরের বিশ্বকাপেই যে সে খেলতে পারবে, সেটা কিন্তু নিশ্চিত নয়। সে বড় কোন ইনজুরিতেও পড়তে পারে। বা অন্য কোন সমস্যাও হতে পারে।
সাকিব অবশ্যই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার অন্তর্ভুক্তি সবসময়ই দলকে বাড়তি শক্তি দেয়। কিন্তু বিশ্বকাপ স্থগিত করে সাকিবের সুযোগ নিয়ে মোটেও খুশি নই। বরং বিশ্বকাপ না হওয়াতে ভিষন হতাশ হয়েছি। বিশ্বকাপটা হলেই বরং ভালো হতো। আমাদের কতগুলো সিরিজের সঙ্গে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ বাতিল হয়ে গেলো। ছেলেরা খেলার বাইরে থাকতে থাকতে হতাশ হয়ে যাচ্ছে। সত্যিকার অর্থেই একজন ক্রিকেটারের জন্য এটা হতাশার।’