ঢাকা ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাতাসে ছড়িয়ে পড়া করোনার জীবাণু থেকে বাঁচবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • / 97

৭১: সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভারাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই গবেষণার ফল মেনে নিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারীর টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, আমরা বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব স্থানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর বা যেখানে বাতাস ঠিকমতো চলাচল হয় না, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

এই সবকিছুর একটাই অর্থ, আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যখন কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেয় তখন ভাইরাসটি তার দেহ থেকে বাতাসে প্রবেশ করে।

এমনকি এই ভাইরাস বাতাসে বেশ কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। আর তখনই আশেপাশে থাকা মানুষ এই বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় করোনায় সংক্রমিত হতে পারে।

তবে এই জন্য তিনি ভয় না পেয়ে বরং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে এর থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন।

যেভাবে বাঁচবেন

> মহামারির এ সময় মাস্ক পরার বিকল্প নেই। বায়ুবাহিত সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের এন৯৫ মাস্ক পরা উচিত। সর্বদা মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না।

> ফেস শিল্ড যদি ব্যবহার করতে পারেন, তবে আরো ভালো। বাড়ির বাইরে গেলে ফেস শিল্ড ব্যবহার করা খুবই উপকারি। এর ফলে আপনি বারবার আপনার মুখ স্পর্শ করবেন না এবং সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন।

> আপনি যদি একজন স্বাস্থ্যকর্মী হন তবে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। তাই মাস্ক হলো প্রতিরক্ষা মূল অস্ত্র। এই ভাইরাস মাত্র পাঁচ মাইক্রন-এর হয়, যদি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি আপনার চারপাশে শ্বাস নেয়, তাহলেও আপনি সংক্রামিত হতে পারেন।

> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কেরখোভ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার নয়, সামাজিক দূরত্বও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলার সময় এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক পরুন।

> এই সময় এসি আছে এমন পাবলিক প্লেসে না যাওয়াই ভালো। কম ভেন্টিলেশনযুক্ত কোনো জায়গায় থাকবেন না। এমন জায়গায় ভাইরাস খুব সহজেই ছড়াতে পারে।

> আপনার ঘরের দরজা ও জানালা খোলা রাখুন। যাতে ঘরে অবাধে বায়ু চলাচল করতে পারে। বায়ুচলাচল না করতে পারলে ভাইরাস ঘরের ভিতরেই ঘুরবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এতে আরো বাড়বে।

Tag :

শেয়ার করুন

বাতাসে ছড়িয়ে পড়া করোনার জীবাণু থেকে বাঁচবেন যেভাবে

আপডেট টাইম : ০৪:২১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

৭১: সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভারাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এরই মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই গবেষণার ফল মেনে নিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারীর টেকনিক্যাল লিড মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, আমরা বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব স্থানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর বা যেখানে বাতাস ঠিকমতো চলাচল হয় না, সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

এই সবকিছুর একটাই অর্থ, আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। যখন কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেয় তখন ভাইরাসটি তার দেহ থেকে বাতাসে প্রবেশ করে।

এমনকি এই ভাইরাস বাতাসে বেশ কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে। আর তখনই আশেপাশে থাকা মানুষ এই বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়ার সময় করোনায় সংক্রমিত হতে পারে।

তবে এই জন্য তিনি ভয় না পেয়ে বরং নিজেকে সুরক্ষিত রাখার মাধ্যমে এর থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব বলেও মনে করেন।

যেভাবে বাঁচবেন

> মহামারির এ সময় মাস্ক পরার বিকল্প নেই। বায়ুবাহিত সংক্রমণ এড়াতে প্রত্যেকের এন৯৫ মাস্ক পরা উচিত। সর্বদা মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক ছাড়া ঘর থেকে বের হবেন না।

> ফেস শিল্ড যদি ব্যবহার করতে পারেন, তবে আরো ভালো। বাড়ির বাইরে গেলে ফেস শিল্ড ব্যবহার করা খুবই উপকারি। এর ফলে আপনি বারবার আপনার মুখ স্পর্শ করবেন না এবং সংক্রমণ থেকে দূরে থাকবেন।

> আপনি যদি একজন স্বাস্থ্যকর্মী হন তবে সামাজিক দূরত্ব মানা সম্ভব নয়। তাই মাস্ক হলো প্রতিরক্ষা মূল অস্ত্র। এই ভাইরাস মাত্র পাঁচ মাইক্রন-এর হয়, যদি কোনো সংক্রামিত ব্যক্তি আপনার চারপাশে শ্বাস নেয়, তাহলেও আপনি সংক্রামিত হতে পারেন।

> বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কেরখোভ জানিয়েছেন, কেবলমাত্র মাস্ক ব্যবহার নয়, সামাজিক দূরত্বও এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কথা বলার সময় এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখুন এবং মাস্ক পরুন।

> এই সময় এসি আছে এমন পাবলিক প্লেসে না যাওয়াই ভালো। কম ভেন্টিলেশনযুক্ত কোনো জায়গায় থাকবেন না। এমন জায়গায় ভাইরাস খুব সহজেই ছড়াতে পারে।

> আপনার ঘরের দরজা ও জানালা খোলা রাখুন। যাতে ঘরে অবাধে বায়ু চলাচল করতে পারে। বায়ুচলাচল না করতে পারলে ভাইরাস ঘরের ভিতরেই ঘুরবে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি এতে আরো বাড়বে।