ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মাই লর্ড’ নয় ‘স্যার’ বলুন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০
  • / 104

৭১: ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ নয়। এর বদলে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করুন। পশ্চিমবঙ্গের সব আদালতের বিচারক, রেজিস্ট্রি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতি ইমেইলে এমনই আর্জি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পক্ষে আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো ইমেইলে বলা হয়েছে- প্রধান বিচারপতির ইচ্ছা অনুযায়ী এখন থেকে সব ধরনের বিচার প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক কাজে তাকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দ দুটির বদলে ‘স্যার’ ব্যবহার করা হোক।

বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে মাই লর্ড বা লর্ডশিপ শব্দ দুটি বাধ্যতামূলক নয় বলে আগেই মতপ্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিমকোর্ট। ২০১৪ সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিলেন বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দের মাধ্যমে সম্বোধন জরুরি নয়।

এছাড়া বিচারপতিকে ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন বলে ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ ২০১৪ সালে বাতিলের প্রস্তাব করেছিল। ভারতে প্রথম রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতিরা ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দ দুটির বদলে

‘স্যার’ ও ‘শ্রীমান জি’ শব্দ দুটি গ্রহণ করেন। এবার কিছুটা হলেও সেই পথে হাঁটলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ।

পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য আইনজীবী ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘মাই লর্ড’ বলার ঘোরতর বিরোধী। তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী থেকেই দাসত্ব শব্দটি বিলুপ্ত হওয়া উচিত। বাম দলীয় সংসদ সদস্য ও কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ব্রিটিশ শাসনে চালু হওয়া আইনকানুন অনেকটাই বহাল রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর অধিকাংশ আদালতে ইংরেজদের চালু করা রীতিনীতি এখনও চলছে। ব্রিটিশ আমল থেকে বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধনের রীতি চলে আসছে।

Tag :

শেয়ার করুন

‘মাই লর্ড’ নয় ‘স্যার’ বলুন

আপডেট টাইম : ০৫:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুলাই ২০২০

৭১: ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ নয়। এর বদলে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন করুন। পশ্চিমবঙ্গের সব আদালতের বিচারক, রেজিস্ট্রি বিভাগের কর্মকর্তা ও অন্য প্রশাসনিক কর্তাদের প্রতি ইমেইলে এমনই আর্জি জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পক্ষে আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো ইমেইলে বলা হয়েছে- প্রধান বিচারপতির ইচ্ছা অনুযায়ী এখন থেকে সব ধরনের বিচার প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক কাজে তাকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দ দুটির বদলে ‘স্যার’ ব্যবহার করা হোক।

বিচারপতিদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে মাই লর্ড বা লর্ডশিপ শব্দ দুটি বাধ্যতামূলক নয় বলে আগেই মতপ্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিমকোর্ট। ২০১৪ সালে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিলেন বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দের মাধ্যমে সম্বোধন জরুরি নয়।

এছাড়া বিচারপতিকে ‘মাই লর্ড’ বলে সম্বোধন ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন বলে ‘বার কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া’ ২০১৪ সালে বাতিলের প্রস্তাব করেছিল। ভারতে প্রথম রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতিরা ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ শব্দ দুটির বদলে

‘স্যার’ ও ‘শ্রীমান জি’ শব্দ দুটি গ্রহণ করেন। এবার কিছুটা হলেও সেই পথে হাঁটলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ।

পশ্চিমবঙ্গের স্বনামধন্য আইনজীবী ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও ‘মাই লর্ড’ বলার ঘোরতর বিরোধী। তিনি বলেন, গোটা পৃথিবী থেকেই দাসত্ব শব্দটি বিলুপ্ত হওয়া উচিত। বাম দলীয় সংসদ সদস্য ও কলকাতার সাবেক মেয়র বিকাশ ভট্টাচার্যও এ উদ্যোগকে সমর্থন করেছেন।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় ব্রিটিশ শাসনে চালু হওয়া আইনকানুন অনেকটাই বহাল রয়েছে। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানসহ সার্কভুক্ত দেশগুলোর অধিকাংশ আদালতে ইংরেজদের চালু করা রীতিনীতি এখনও চলছে। ব্রিটিশ আমল থেকে বিচারপতিদের ‘মাই লর্ড’ বা ‘লর্ডশিপ’ বলে সম্বোধনের রীতি চলে আসছে।