ফরিদপুরে ট্রিপল মার্ডার মামলায় বরকত-রুবেল ৫ দিনের রিমান্ডে
- আপডেট টাইম : ০২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০
- / 123
৭১: ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে জেলা কারাগারের গেট থেকে রিমান্ড শুনানিতে হাজির করা হয় বরকত ও রুবেল। শুনানি শেষে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম মো. ফারুক হোসাইন তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, ২০১৫ সালের একটি ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় গ্রাম পুলিশের দায়ের করা একটি মামলার আসামি হিসেবে বরকত ও রুবেলের ১০দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের দুইজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খুলনা জেলার তেরখাদা এলাকার মাছের ব্যবসায়ী তিন যুবককে শহরতলীর বদরপুর এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় গ্রাম পুলিশ বাদি হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে আসায় পুলিশ মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই মামলায় বরকত ও রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন জানালে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। বর্র্তমানে বরকত ও রুবেল কারাগারে।
ফরিদপুরের জেল সুপার আব্দুর রহিম বলেন, বরকত ও রুবেলের রিমান্ড মঞ্জুর করে ও রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত পুলিশ ওই দুই ভাইকে তাদের হেফাজতে নেয়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ বরকত-রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে বরকত ও রুবেলের দেহ ও বাড়ি তল্লাশি করে অস্ত্র, বিদেশি মদ, ইয়াবা, ডলার, ভারতীয় রুপী, ২৯ লাখ টাকা ও ১২০০ বস্তা চাল জব্দ করা হয়। সেসব ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
গত ১৬ মে রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনায় ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।