ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাণঘাতী লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় হেপাটাইটিস-বি!

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০
  • / 95

৭১: বিশ্বে দিন দিন দেখা দিচ্ছে নানা রকম রোগবালাই। যা প্রাণঘাতীও। তেমনি একটি রোগ হচ্ছে ক্যান্সার। যাতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সারাবিশ্বে প্রতিবছরই লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভার ক্যান্সার।
লিভার ক্যান্সার বিভিন্ন কারণে হত্যে পারে। তবে হেপাটাইটিস-বি’র সংক্রমণ থেকে যে লিভার ক্যান্সার হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই ধারণার বাইরে!
মার্কিন গবেষকরা বলছেন, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় হেপাটাইটিস-বি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশনের দাবি, হেপাটাইটিস-বি’র সঠিক চিকিৎসা সময় মতো করা না গেলে তা লিভার ক্যান্সারে রূপ নেয়।
লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব! একেবারে শেষ সময়ে এর উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ লিভারের বেশিরভাগ অংশই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। তবে হেপাটাইটিস-বি থেকে হওয়া সংক্রমণ লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকার হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ৭ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় লিভার ক্যান্সারে। তবে আফ্রিকা এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই হার অনেক বেশি। এই দেশগুলোতে লিভার ক্যান্সারে মৃত্যু হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
মার্কিন গবেষকদের মতে, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হেপাটাইটিস-বি’র চিকিৎসা সময় মতো শুরু করা জরুরি। পৃথিবীর প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও তারা পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছেন।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক হেপাটাইটিস বি’র প্রাথমিক লক্ষণগুলো-
> সব সময় অবসন্ন বোধ করা।
> বেশিরভাগ সময়েই মাথাব্যথা করা।
> হঠাৎ হঠাৎ গা চুলকাতে থাকা।
> হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা থাকা, বিশেষ করে ডান দিকের উপরিভাগের জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করা।
> সারাক্ষণ বমি বমি ভাব থাকা এবং যখন তখন বমি হওয়া।
> সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হওয়া বা শরীরে ম্যাজমেজে অনুভূতি হওয়া।
> চোখ ও প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এসব লক্ষণগুলো দেখা দিলে জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নইলে আপনার মূল্যবান অঙ্গ লিভার ধ্বংস হয়ে আপনাকে মৃত্যু দিকে নিয়ে যেতে পারে।

Tag :

শেয়ার করুন

প্রাণঘাতী লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় হেপাটাইটিস-বি!

আপডেট টাইম : ১২:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

৭১: বিশ্বে দিন দিন দেখা দিচ্ছে নানা রকম রোগবালাই। যা প্রাণঘাতীও। তেমনি একটি রোগ হচ্ছে ক্যান্সার। যাতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সারাবিশ্বে প্রতিবছরই লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এই রোগে। বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভার ক্যান্সার।
লিভার ক্যান্সার বিভিন্ন কারণে হত্যে পারে। তবে হেপাটাইটিস-বি’র সংক্রমণ থেকে যে লিভার ক্যান্সার হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই ধারণার বাইরে!
মার্কিন গবেষকরা বলছেন, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় হেপাটাইটিস-বি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশনের দাবি, হেপাটাইটিস-বি’র সঠিক চিকিৎসা সময় মতো করা না গেলে তা লিভার ক্যান্সারে রূপ নেয়।
লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায় শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব! একেবারে শেষ সময়ে এর উপসর্গ বোঝা যায় বলে লিভার বা যকৃতের ক্যান্সার শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কারণ লিভারের বেশিরভাগ অংশই পাঁজরের নিচে ঢাকা থাকে। যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে বা লিভার সিরোসিস রয়েছে, তাদের লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। তবে হেপাটাইটিস-বি থেকে হওয়া সংক্রমণ লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
আমেরিকার হেপাটাইটিস বি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ৭ লাখ ৮৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় লিভার ক্যান্সারে। তবে আফ্রিকা এবং পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এই হার অনেক বেশি। এই দেশগুলোতে লিভার ক্যান্সারে মৃত্যু হার প্রায় ৮০ শতাংশ।
মার্কিন গবেষকদের মতে, লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে হেপাটাইটিস-বি’র চিকিৎসা সময় মতো শুরু করা জরুরি। পৃথিবীর প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি-তে আক্রান্ত হচ্ছেন বলেও তারা পরিসংখ্যানে তুলে ধরেছেন।
চলুন এবার জেনে নেয়া যাক হেপাটাইটিস বি’র প্রাথমিক লক্ষণগুলো-
> সব সময় অবসন্ন বোধ করা।
> বেশিরভাগ সময়েই মাথাব্যথা করা।
> হঠাৎ হঠাৎ গা চুলকাতে থাকা।
> হাড়ের জয়েন্টে ব্যথা থাকা, বিশেষ করে ডান দিকের উপরিভাগের জয়েন্টে ব্যথা অনুভব করা।
> সারাক্ষণ বমি বমি ভাব থাকা এবং যখন তখন বমি হওয়া।
> সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অনুভূত হওয়া বা শরীরে ম্যাজমেজে অনুভূতি হওয়া।
> চোখ ও প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
এসব লক্ষণগুলো দেখা দিলে জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নইলে আপনার মূল্যবান অঙ্গ লিভার ধ্বংস হয়ে আপনাকে মৃত্যু দিকে নিয়ে যেতে পারে।