বাল্যবিয়ের দায়ে দুজনের জেল, দৌড়ে পালালেন মুয়াজ্জিন
- আপডেট টাইম : ০২:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
- / 119
৭১: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ায় অপরাধে মেয়ের বাবা ও মেয়ের বাবার ভায়রা-ভাইকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ধবলসতী এলাকায় সোমবার (২৯ জুন) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযান পরিচালনা করেন পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন মেয়ের বাবা মো. বাবলু মিয়া (৫০) ও মেয়ের বাবার ভায়রা-ভাই মো. আব্দার রহমান (৫০)। ইউএনও জানতে পারেন, পাটগ্রাম পৌরসভার বানিয়াপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. রইছ উদ্দিন বাল্যবিয়ে পড়িয়েছেন। পরে ওই রাতেই তাঁর বাড়িতে অভিযান চালান। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে মুয়াজ্জিন রইছ পালিয়ে যান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৯ জুন) রাত ১টার দিকে পাটগ্রাম পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ধবলসতী গ্রামে কনের বাড়িতে বাল্যবিবাহের আয়োজনের সময় ইউএনও ও পাটগ্রাম থানার ওসি সুমন কুমার মহন্তের নেতৃত্বে পুলিশ ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। তাঁদের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনেসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তবে পুলিশি অভিযানের আগেই ওই বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হয়। পুলিশ কনের বাবা ও কনের বাবার ভায়রা-ভাইকে আটক করে। পরে থানা পুলিশ ওই রাতেই বাল্যবিবাহের অভিযোগে আটক কনের বাবা ও কনের বাবার ভায়রা-ভাইকে কনের বাড়িতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে। এ সময় আদালত দুজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাল্যবিবাহের অপরাধে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কনের বাবা ও কনের বাবার ভায়রা-ভাইকে আজ সোমবার লালমনিরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
ইউএনও মো. মশিউর রহমান বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা ও কনের বাবার ভায়রা-ভাইকে ছয় (৬) মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় এক মসজিদের মুয়াজ্জিন বিয়ে পড়িয়েছে জানতে পেরে রাতেই তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তাকে ধরার জন্য খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তাকে ধরা গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্যা নেওয়া হবে।