কমতে পারে মোবাইলে কথা বলার খরচ!
- আপডেট টাইম : ০১:৪৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
- / 103
৭১: ২০২০-২১ অর্থবছরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথাবলার খরচ বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচও। গত ১১ জুন থেকেই মোবাইল সেবায় বাড়তি হারে সম্পূরক শুল্ক কাটা শুরু করে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। তবে সূত্র জানিয়েছে, মোবাইলে কথা বলার খরচ আগের জায়গায় ফিরতে পারে।
সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতিতে সব শ্রেণির মানুষের আয়-রোজগার কমে গেছে। মোবাইল অপারেটরসহ ব্যবসায়ী মহল থেকেও ব্যাপক আপত্তি আসে। আলোচনা-সমালোচনার পর সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানেই নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। অর্থবিল পাসের দিন এটি সংশোধন করা হতে পারে।
এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবির চিফ কর্পোরেট অফিসার শাহেদ আলম বলেন, সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, যা প্রভিশনাল কালেকশন অব ট্যাক্সেস অ্যাক্টের অধীনে সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়নের বিধান রয়েছে। তাই মোবাইল কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের এসএমএসের মাধ্যমে সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর তথ্য দিয়ে তা কার্যকর করেছে। অর্থাৎ বাড়তি হারে কর আদায় করেছে। চূড়ান্ত বাজেটে সরকার সম্পূরক শুল্ক আগের অবস্থানে নিয়ে গেলে অপারেটরগুলোও বাড়তি কর কাটা বন্ধ করে আগের নিয়মে ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক আদায় করবে।
তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটের পর গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত যে অর্থ কর হিসেবে আদায় করা হয়েছে তা আইন অনুযায়ী সরকারের কোষাগারে জমা দেয়া হবে। এ অর্থ মোবাইল অপারেটরদের কাছে রাখার সুযোগ নেই।
এর আগে গত ১২ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণের কথা বলা হয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে সেবার বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর মিলে মোট কর ৩৩.২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়ায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০০ টাকা খরচ করে ৭৫ দশমিক শূন্য ৩ টাকার সেবা মিলছে। ২৪ দশমিক ৯৭ টাকা যাচ্ছে সরকারের পকেটে।