ঢাকা ০৫:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে উপায়ে করোনা মোকাবেলায় সফল নিউজিল্যান্ড

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০
  • / 129

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ফাইল ছবি

গত ২ সপ্তাহে নতুন করে কোনো করোনা রোগী ধরা পড়েনি নিউজিল্যান্ডে। এ কারণে দেশটিকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ফলে দেশটিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে সব প্রকার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র সীমান্ত বন্ধ থাকছে।
সোমবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ঘোষণা দেন, দেশের ভেতর সব প্রকার কড়াকড়ি তুলে নেয়া হবে। ভাইরাস দমনে দেশের মানুষ যেভাবে একাত্ম হয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আবার যেন করোনা রোগী ধরা না পড়ে।
জেসিন্ডার এ ঘোষণার ফলে নিউজিল্যান্ডে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে যেকোনো ধরনের সরকারি ও ব্যক্তিগত আয়োজনের অনুষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণপরিবহণসহ দেশের মধ্যে সব ধরনের ভ্রমণে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সরকারগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন এ ক্ষেত্রে সফলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড কিভাবে করোনা মোকাবেলায় সফলতা দেখাল তা জানতে আগ্রহের শেষ নেই।
জেসিন্ডা আরডার্ন সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে সহজেই করোনার বিপর্যয় থেকে উতরে গেছে দেশটির জনগণ। দেশটির জনগণ সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে এবং মেনে চলেছে।
কয়েক সপ্তাহব্যাপী কড়া লকডাউন ছিল নিউজিল্যান্ডের জনগণ এবং করোনার মহামারী ঠেকাতে দেশটি সফল হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসকে সুযোগই দেয়নি। ৫ সপ্তাহের কড়া একটি লকডাউন মেনে চলে দেশটি।
সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত আসে এবং কোনো দ্বিধা ছিল না সেখানে। ১৯শে মার্চ যখন লকডাউন হয় নিউজিল্যান্ড, তখন দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০।
এপ্রিলের শেষ দিকেই নতুন করে রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় চলে আসে। মে মাস থেকেই নানাভাবে তুলে নেয়া হয় কড়াকড়ি।
নিউজিল্যান্ডে মোট এক হাজার ৫০৪ জন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে এবং মারা গেছেন ২২ জন।
দেশটিতে এখন কোনো কোভিড-১৯ রোগী নেই। গেল ২ সপ্তাহে শনাক্ত হয়নি নতুন কেউ।

Tag :

শেয়ার করুন

যে উপায়ে করোনা মোকাবেলায় সফল নিউজিল্যান্ড

আপডেট টাইম : ০৭:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

গত ২ সপ্তাহে নতুন করে কোনো করোনা রোগী ধরা পড়েনি নিউজিল্যান্ডে। এ কারণে দেশটিকে করোনামুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ফলে দেশটিতে সোমবার মধ্যরাত থেকে সব প্রকার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হচ্ছে। তবে শুধুমাত্র সীমান্ত বন্ধ থাকছে।
সোমবার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ঘোষণা দেন, দেশের ভেতর সব প্রকার কড়াকড়ি তুলে নেয়া হবে। ভাইরাস দমনে দেশের মানুষ যেভাবে একাত্ম হয়ে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আবার যেন করোনা রোগী ধরা না পড়ে।
জেসিন্ডার এ ঘোষণার ফলে নিউজিল্যান্ডে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে যেকোনো ধরনের সরকারি ও ব্যক্তিগত আয়োজনের অনুষ্ঠান, ব্যবসা-বাণিজ্য, গণপরিবহণসহ দেশের মধ্যে সব ধরনের ভ্রমণে কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না।
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সরকারগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন এ ক্ষেত্রে সফলতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড কিভাবে করোনা মোকাবেলায় সফলতা দেখাল তা জানতে আগ্রহের শেষ নেই।
জেসিন্ডা আরডার্ন সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কারণে সহজেই করোনার বিপর্যয় থেকে উতরে গেছে দেশটির জনগণ। দেশটির জনগণ সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানিয়েছে এবং মেনে চলেছে।
কয়েক সপ্তাহব্যাপী কড়া লকডাউন ছিল নিউজিল্যান্ডের জনগণ এবং করোনার মহামারী ঠেকাতে দেশটি সফল হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসকে সুযোগই দেয়নি। ৫ সপ্তাহের কড়া একটি লকডাউন মেনে চলে দেশটি।
সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত আসে এবং কোনো দ্বিধা ছিল না সেখানে। ১৯শে মার্চ যখন লকডাউন হয় নিউজিল্যান্ড, তখন দেশটিতে রোগীর সংখ্যা ছিল ৩০।
এপ্রিলের শেষ দিকেই নতুন করে রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোটায় চলে আসে। মে মাস থেকেই নানাভাবে তুলে নেয়া হয় কড়াকড়ি।
নিউজিল্যান্ডে মোট এক হাজার ৫০৪ জন কোভিড-১৯ রোগী পাওয়া গেছে এবং মারা গেছেন ২২ জন।
দেশটিতে এখন কোনো কোভিড-১৯ রোগী নেই। গেল ২ সপ্তাহে শনাক্ত হয়নি নতুন কেউ।