ঢাকা ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় বেকার হওয়ার আশঙ্কায় ৩৩০ কোটি মানুষ: আইএলও

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০
  • / 100

মহামারী করোনাভাইরাস নাড়া দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে , তাতে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষের আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

জাতিসংঘের এই সংস্থা বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন সংকট আর দেখা দেয়নি। তবে বছরের শেষ ৬ মাসে অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়ালে এবং কার্যকর নীতিকৌশল অবলম্বন করা গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব।

আইএলও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে বৈশ্বিক কর্মক্ষম মানুষের ৮১ শতাংশ (৩৩০ কোটি) আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়বে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৩৩০ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতুন করে বেকার হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্ব শ্রম সংস্থাটি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীতে অচল গোটা বিশ্ব। করোনায় প্রাণহানি ও অসুস্থদের পরিসংখ্যান রাখা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ জন।

মারা গেছে ৮২ হাজার ২১০ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকায়। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে এ দুই মহাদেশে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বহু দেশে লকডাউন চলছে। মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও। প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। উৎপাদনে যাচ্ছে না বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বহু প্রতিষ্ঠানের অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের আংশিক অথবা সম্পূর্ণভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে আইএলও।

সংস্থাটির মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেছেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল, দুই ধরনের দেশেই এ সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে আইএলও। এটি প্রায় ২০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষের চাকরি হারানোর বাস্তবতা সৃষ্টি করবে।

Tag :

শেয়ার করুন

করোনায় বেকার হওয়ার আশঙ্কায় ৩৩০ কোটি মানুষ: আইএলও

আপডেট টাইম : ০৭:৩১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ এপ্রিল ২০২০

মহামারী করোনাভাইরাস নাড়া দিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতিকে। গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যে স্থবিরতা নেমে এসেছে , তাতে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষের আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

জাতিসংঘের এই সংস্থা বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন সংকট আর দেখা দেয়নি। তবে বছরের শেষ ৬ মাসে অর্থনীতির চাকা ঘুরে দাঁড়ালে এবং কার্যকর নীতিকৌশল অবলম্বন করা গেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব।

আইএলও সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে বৈশ্বিক কর্মক্ষম মানুষের ৮১ শতাংশ (৩৩০ কোটি) আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে পড়বে। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী সাড়ে ৩৩০ কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতুন করে বেকার হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্ব শ্রম সংস্থাটি।

চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারীতে অচল গোটা বিশ্ব। করোনায় প্রাণহানি ও অসুস্থদের পরিসংখ্যান রাখা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত গোটা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৩১০ জন।

মারা গেছে ৮২ হাজার ২১০ জন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইউরোপ ও আমেরিকায়। বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে এ দুই মহাদেশে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও স্পেনে প্রতিদিন মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হচ্ছে।

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বহু দেশে লকডাউন চলছে। মানুষের স্বাভাবিক চলাফেরার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ রয়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও। প্রায় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। উৎপাদনে যাচ্ছে না বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। বহু প্রতিষ্ঠানের অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান কর্মীদের আংশিক অথবা সম্পূর্ণভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় বেকারত্বের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করছে আইএলও।

সংস্থাটির মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেছেন, উন্নত ও উন্নয়নশীল, দুই ধরনের দেশেই এ সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে আইএলও। এটি প্রায় ২০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষের চাকরি হারানোর বাস্তবতা সৃষ্টি করবে।