পাপিয়ার দুই সহযোগী
- আপডেট টাইম : ০৮:২০:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মার্চ ২০২০
- / 125
নিউজ লাইট ৭১: জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজের অভিযোগে গ্রেফতার নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- সাব্বির খন্দকার ও শেখ তাইবা নূর।
রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম আশেক ইমাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ১১ মার্চ বিমানবন্দর থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ এ দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।
ওই দিন আদালত পাপিয়া ও তার স্বামীর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আর এ দুই আসামি কারাগারে থাকায় আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য এদিন ধার্য করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, পাপিয়া ও তার স্বামীকে দেশীয় ও বিদেশি মুদ্রার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পাপিয়া, সুমন ও সাব্বির তাইবা নূরের সহযোগিতায় ও পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাতসারে জাল মুদ্রা বাজারজাত করার উদ্দেশে বহন, বিপুল পরিমাণ সংঘবদ্ধ অপরাধলব্ধ অর্থপাচারের উদ্যোগ নিয়ে অপরাধ করেছে মর্মে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তাই আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই, জাল টাকাসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ ও বৈদেশিক টাকার উৎসের অনুসন্ধান, জাল টাকা তৈরিতে এবং দেশের অর্থপাচারের কাজে জড়িত সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যদের শনাক্তকরণের জন্য রিমন্ডের আবেদন মঞ্জুর করা একান্ত আবশ্যক।
এদিন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী মীর মো. শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
অপরদিকে রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে এ আদেশ প্রদান করেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ এ দুই আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জালটাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়।