ঢাকা ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের এক হোতা গ্রেপ্তার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০
  • / 312

নিউজ লাইট ৭১: মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশের এজেন্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ, এরপর বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে বিভিন্ন কোড ডায়াল করার পরামর্শ, অথবা খুদে বার্তায় (এসএমএস) বিভিন্ন লিংক। গ্রাহকরা সেই কোডে ডায়াল করলে বা লিংকে ক্লিক করলেই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যায় প্রতারকের অ্যাকাউন্টে।

মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তারের শুক্রবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের হোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইস ও কয়েকটি মোবাইল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, ৩টি মডেম ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল র‌্যাবকে জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে সে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব বলেছে, সোহেলের আরও ৪-৫ জন সহযোগী আছে। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে র‌্যাব।

কিভাবে তারা প্রতারণাটি করত জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, কোনো গ্রাহক যদি বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করেন, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টদের টাকা দিয়ে সংগ্রহ করে জালিয়াত চক্রটি। নম্বর পাওয়ার পর তারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে কল দিয়ে বলত- আমি বিকাশ, রকেট বা নগদ অফিস থেকে বলছি, আপনি যে টাকা পাঠিয়েছেন বা আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছে, সেই টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এমন সব প্রতারণামূলক কৌশলে তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলে।  অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাত। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই টাকা প্রতারক চক্রের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।

Tag :

শেয়ার করুন

মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের এক হোতা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৮:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশের এজেন্টদের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ, এরপর বিকাশ অফিসের নম্বর ক্লোন করে গ্রাহককে ফোন দিয়ে বিভিন্ন কোড ডায়াল করার পরামর্শ, অথবা খুদে বার্তায় (এসএমএস) বিভিন্ন লিংক। গ্রাহকরা সেই কোডে ডায়াল করলে বা লিংকে ক্লিক করলেই তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চলে যায় প্রতারকের অ্যাকাউন্টে।

মোবাইল ব্যাংকিং জালিয়াত চক্রের এক হোতাকে গ্রেপ্তারের শুক্রবার আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন তথ্যই জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রকিবুল হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে মিরপুর-১ এর ১৯ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের হোতা মো. সোহেল আহম্মেদকে (৩৬) গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সিম কার্ড ও মাল্টি সিম গেটওয়ে ডিভাইস ও কয়েকটি মোবাইল জব্দ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি সিগন্যাল বুস্টার, ৩টি মডেম ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল র‌্যাবকে জানিয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে সে মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব বলেছে, সোহেলের আরও ৪-৫ জন সহযোগী আছে। তাদের নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা হচ্ছে না। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করবে র‌্যাব।

কিভাবে তারা প্রতারণাটি করত জানতে চাইলে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক বলেন, কোনো গ্রাহক যদি বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করেন, তাহলে সেই নম্বর ও তথ্য এজেন্টদের টাকা দিয়ে সংগ্রহ করে জালিয়াত চক্রটি। নম্বর পাওয়ার পর তারা মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা কোম্পানির নম্বর ক্লোন করে কল দিয়ে বলত- আমি বিকাশ, রকেট বা নগদ অফিস থেকে বলছি, আপনি যে টাকা পাঠিয়েছেন বা আপনার অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছে, সেই টাকা ভুল নম্বরে চলে গেছে। এমন সব প্রতারণামূলক কৌশলে তারা গ্রাহকদের বিভিন্ন কোড ডায়াল করতে বলে।  অথবা তারা মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন লিংক পাঠাত। গ্রাহকরা সেই কোড বা লিংকে ক্লিক করলেই টাকা প্রতারক চক্রের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।