পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইউনিক সিরামিক
- আপডেট টাইম : ০৯:১৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
- / 95
নিউজ লাইট ৭১: গাজীপুরে পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ইউনিক সিরামিক নামক ইট তৈরির কারখানা। এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়সহ ধ্বংস হচ্ছে সরকারি কার্পেটিং করা রাস্তা-ঘাট।
রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখো গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকায় অবস্থিত ইউনিক সিরামিক নামক ইট তৈরির কারখানাটি চলছে। ছাড়পত্র না থাকলেও দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কারখানাটি চলছে তো চলছেই।
গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুস সালাম সরকার জানান, ওই কারখানায় নতুন করে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। আগের দেওয়া ছাড়পত্র থাকতে পারে তবে আপডেট নবায়ন নেই। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ছাড়পত্র দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে অচিরেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ডাম্প ট্রাক ও লরি দিয়ে রোজ জন সাধারণের চলার রাস্তা দিয়ে মাটি নিয়ে আসা-যাওয়া করছে স্থানীয় মাটি ব্যবসায়ী শিপন আহম্মেদ ও মজনু মোল্লা। তারা সরকারি কার্পেটিং করা রাস্তা ধ্বংস করে ইউনিক সিরামিকে মাটি বিক্রি করার ধুম ফেলেছেন।
ফলে রাস্তায় পড়ছে মাটি। উড়ছে ধুলো। হালকা বৃষ্টি হলেই পিছলে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। ধুলো-বালি আর কাদায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। প্রতিনিয়ত মোটরসাইকেলের চাকা পিছলে গিয়ে ছিটকে পড়ছে আরোহীরা। নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রাক-বাস।
ডাম্প ট্রাকের মাটি সড়কে পড়ে পাথরের মতো সৃষ্টি হয়ে পড়ে আছে। সামন্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে রাস্তা খুবই বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় তারপরেও পরিবেশ অধিদপ্তর নড়েচড়ে বসছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পোশাক কারখানার এক কর্মকর্তা বলেন, মানুষ বসবাসের আবাসিক এলাকা ছাড়াও রপ্তানিমুখী পোশাক তৈরির কারখানা রয়েছে। সেখানে বেআইনিভাবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন ইট তৈরির কারখানার চলে কিভাবে?
ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, রোজ ডাম্প ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে আসা-যাওয়া করছে। ট্রাক থেকে মাটি পড়ে কার্পোটিং করা সরকারি রাস্তাগুলো ভেঙে যাচ্ছে। ট্রাকের অত্যাচারে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না তারা। ধুলো-বালিতে পরিবেশ দুষণ হওয়ায় শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও জ্বর লেগেই আছে।
এ ব্যাপারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল সাত (আনিক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাইদ মোল্লা জানান, বিষয়টি জানা ছিলো না। এদের বিরুদ্ধে অচিরেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।