ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০
  • / 274

নিউজ লাইট ৭১: অভিনয়, এবং প্রযোজনা নিয়ে চলচ্চিত্রে আবারও সরব হচ্ছেন চলচ্চিত্রের তারকা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এরই মধ্যে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমার নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে সৌভাগ্য ও এ দেশ কার এবং এক কোটি টাকা। প্রথম দুটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক। সিনেমা দুটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সেন্সরবোর্ডে জমা দেবেন। এর মধ্যে সৌভাগ্য সিনেমাটি রোববার জমা দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ দেশ কার জমা দেয়া হবে। তারপর এক কোটি টাকা জমা দেয়া হবে। সৌভাগ্য সিনেমাটিতে ডিপজলের সাথে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ, তমা মির্জা, সাদেক বাচ্চু, আফজাল শরীফসহ অন্য তারকারা।

পারিবারিক ও সামাজিক গল্পের প্রেক্ষাপটে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্প ভাবনায় রয়েছেন ডিপজল নিজে। শুধু এ সিনেমাই নয়, ডিপজলের প্রত্যেকটি সিনেমায়ই তার নিজস্ব মৌলিক গল্পের চিন্তা-ভাবনা থাকে।

তার সিনেমার ভিত্তিই গড়ে ওঠে মৌলিক গল্পের ওপর। ডিপজল বলেন, ‘একটি সিনেমার প্রাণ গল্প। এ প্রাণকে সজীব ও জীবন্ত করে তোলে এর চরিত্র। আমাদের এখনকার সিনেমায় ভালো গল্পের সিনেমা খুব কম হয়। অথচ চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গল্প সমৃদ্ধ সিনেমার বিকল্প নেই। একটি সিনেমায় যদি ঠিকভাবে গল্পই তুলে ধরা না হয়, তবে দর্শক তা দেখবে কেন? শুধু নায়ক-নায়িকা দেখতে দর্শক হলে যায় না। গল্প যদি ভালো হয়, তবে গল্পের চরিত্রে যেই অভিনয় করুক না কেন দর্শক তাকেই মনে রাখে। পরীক্ষিত ও দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী হলে গল্পটি আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে। সৌভাগ্য সিনেমাটিতে দর্শকের মনে রাখার মতো একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। দর্শক সিনেমাটি দেখে ঠকবেন না। এ দেশ কার সিনেমাটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির পেছনে অনেক শ্রম দেওয়া হয়েছে। অনেকবার গল্পের সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হয়েছে। এ কারণে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে। এ সিনেমাটি দেখেও দর্শক মুগ্ধ হবেন। এছাড়া এক কোটি টাকার গল্পও অন্যরকম। তিনটি সিনেমার গল্প তিন ধরনের। আমি বরাবরই সিনেমার গল্পের ওপর জোর দেই। গল্প ভালো না হলে তা করি না। প্রয়োজনে সিনেমা বানানো বন্ধ করে দেই। দর্শকের চাহিদার সাথে আমার চিন্তা-ভাবনার সম্মিলনের মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ করতে পছন্দ করি। যে তিনটি সিনেমা রেডি হয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেব। তবে সৌভাগ্য ঈদের আগে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিপজল বলেন, ‘সিনেমার এ সংকটকালে একের পর এক ভালো গল্পের সিনেমা দর্শকদের দিতে পারলে তারা আবার হলমুখী হবে। আমি সেই চেষ্টাই করছি। ২০০৬ সালে কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, মায়ের হাতে বেহেশতের চাবিসহ পরপর কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করে মুক্তি দিয়েছিলাম। এ সিনেমাগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। ফলে অশ্লীল সিনেমার বাজার সুষ্ঠু সিনেমার বাজারে পরিণত হয়। এখন আবার সেই উদ্যোগ নিচ্ছি।’

Tag :

শেয়ার করুন

ফিরছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল

আপডেট টাইম : ০৯:০৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ মার্চ ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: অভিনয়, এবং প্রযোজনা নিয়ে চলচ্চিত্রে আবারও সরব হচ্ছেন চলচ্চিত্রের তারকা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এরই মধ্যে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমার নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে সৌভাগ্য ও এ দেশ কার এবং এক কোটি টাকা। প্রথম দুটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন এফ আই মানিক। সিনেমা দুটির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন সেন্সরবোর্ডে জমা দেবেন। এর মধ্যে সৌভাগ্য সিনেমাটি রোববার জমা দেয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ দেশ কার জমা দেয়া হবে। তারপর এক কোটি টাকা জমা দেয়া হবে। সৌভাগ্য সিনেমাটিতে ডিপজলের সাথে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন মৌসুমী। এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন কাজী মারুফ, তমা মির্জা, সাদেক বাচ্চু, আফজাল শরীফসহ অন্য তারকারা।

পারিবারিক ও সামাজিক গল্পের প্রেক্ষাপটে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্প ভাবনায় রয়েছেন ডিপজল নিজে। শুধু এ সিনেমাই নয়, ডিপজলের প্রত্যেকটি সিনেমায়ই তার নিজস্ব মৌলিক গল্পের চিন্তা-ভাবনা থাকে।

তার সিনেমার ভিত্তিই গড়ে ওঠে মৌলিক গল্পের ওপর। ডিপজল বলেন, ‘একটি সিনেমার প্রাণ গল্প। এ প্রাণকে সজীব ও জীবন্ত করে তোলে এর চরিত্র। আমাদের এখনকার সিনেমায় ভালো গল্পের সিনেমা খুব কম হয়। অথচ চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গল্প সমৃদ্ধ সিনেমার বিকল্প নেই। একটি সিনেমায় যদি ঠিকভাবে গল্পই তুলে ধরা না হয়, তবে দর্শক তা দেখবে কেন? শুধু নায়ক-নায়িকা দেখতে দর্শক হলে যায় না। গল্প যদি ভালো হয়, তবে গল্পের চরিত্রে যেই অভিনয় করুক না কেন দর্শক তাকেই মনে রাখে। পরীক্ষিত ও দক্ষ অভিনেতা-অভিনেত্রী হলে গল্পটি আরও ভালোভাবে ফুটে ওঠে। সৌভাগ্য সিনেমাটিতে দর্শকের মনে রাখার মতো একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। দর্শক সিনেমাটি দেখে ঠকবেন না। এ দেশ কার সিনেমাটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটির পেছনে অনেক শ্রম দেওয়া হয়েছে। অনেকবার গল্পের সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হয়েছে। এ কারণে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে। এ সিনেমাটি দেখেও দর্শক মুগ্ধ হবেন। এছাড়া এক কোটি টাকার গল্পও অন্যরকম। তিনটি সিনেমার গল্প তিন ধরনের। আমি বরাবরই সিনেমার গল্পের ওপর জোর দেই। গল্প ভালো না হলে তা করি না। প্রয়োজনে সিনেমা বানানো বন্ধ করে দেই। দর্শকের চাহিদার সাথে আমার চিন্তা-ভাবনার সম্মিলনের মাধ্যমে সিনেমা নির্মাণ করতে পছন্দ করি। যে তিনটি সিনেমা রেডি হয়েছে, সেগুলো পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেব। তবে সৌভাগ্য ঈদের আগে মুক্তি দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিপজল বলেন, ‘সিনেমার এ সংকটকালে একের পর এক ভালো গল্পের সিনেমা দর্শকদের দিতে পারলে তারা আবার হলমুখী হবে। আমি সেই চেষ্টাই করছি। ২০০৬ সালে কোটি টাকার কাবিন, চাচ্চু, মায়ের হাতে বেহেশতের চাবিসহ পরপর কয়েকটি সিনেমা নির্মাণ করে মুক্তি দিয়েছিলাম। এ সিনেমাগুলো দর্শকদের আকৃষ্ট করে। ফলে অশ্লীল সিনেমার বাজার সুষ্ঠু সিনেমার বাজারে পরিণত হয়। এখন আবার সেই উদ্যোগ নিচ্ছি।’