ঢাকা ০১:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 100

নিউজ লাইট ৭১: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের অর্থ পাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

এর আগে সাত বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৯ জানুয়ারি একই আদেশ দেন।

আদেশে একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

এরপর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে কোম্পানিটির স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে ডেকেছিলেন আপিল বিভাগ।

সে অনুযায়ী তারা দুইজন মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে মতামত দেন। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত আদেশের জন্য বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে বুধবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে দেন।

সাতজন বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গত (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ২১ জানুয়ারি আদেশের অনুলিপি হাতে পায় সাংবাদিকরা।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি (পিকে হালদারের দখলে থাকা) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছিলেন আদালত।

হাইকোর্টের এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আক্তারুজ্জামান।

যে ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকানোর আদেশ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে পিকে হালদার ছাড়াও রয়েছেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

আইনজীবীরা জানান, প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেয়া ঋণ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

এমএম স্ট্রাকচারাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি আট কোটি টাকা পাওনার দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দিলেন।

পিকে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। এ দুই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যাংকবহির্ভূত চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে একটি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড। দখল করা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকা সরিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ওই চার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এখন চরম খারাপ। একটি বিলুপ্তের পথে, বাকি তিনটিও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

অন্যদিকে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

Tag :

শেয়ার করুন

পিকে হালদারসহ ২০ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ

আপডেট টাইম : ১২:২৭:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের অর্থ পাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম।

এর আগে সাত বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ ১৯ জানুয়ারি একই আদেশ দেন।

আদেশে একই সঙ্গে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

এরপর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে কোম্পানিটির স্বাধীন চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগপ্রাপ্ত) খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকের নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে ডেকেছিলেন আপিল বিভাগ।

সে অনুযায়ী তারা দুইজন মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে মতামত দেন। এরপর শুনানি নিয়ে আদালত আদেশের জন্য বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেন। সে অনুসারে বুধবার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের আবেদন খারিজ করে দেন।

সাতজন বিনিয়োগকারীর টাকা ফেরত-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে গত (১৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে ২১ জানুয়ারি আদেশের অনুলিপি হাতে পায় সাংবাদিকরা।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারা যেন দেশত্যাগ না করতে পারেন, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।

পাশাপাশি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি (পিকে হালদারের দখলে থাকা) ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছিলেন আদালত।

হাইকোর্টের এই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আক্তারুজ্জামান।

যে ২০ জনের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দ এবং পাসপোর্ট আটকানোর আদেশ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে পিকে হালদার ছাড়াও রয়েছেন- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম নুরুল আলম, পরিচালক জহিরুল আলম, নাসিম আনোয়ার, বাসুদেব ব্যানার্জি, পাপিয়া ব্যানার্জি, মোমতাজ বেগম, নওশেরুল ইসলাম, আনোয়ারুল কবির, প্রকৌশলী নুরুজ্জামান, আবুল হাসেম, মো. রাশেদুল হক, পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, স্ত্রী সুস্মিতা সাহা, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, চাচাতো ভাই অমিতাভ অধিকারী, অভিজিৎ অধিকারী, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক পরিচালক ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও পি কে হালদারের বন্ধু উজ্জ্বল কুমার নন্দী।

আইনজীবীরা জানান, প্রায় ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক পিকে হালদারসহ ২০ জনের সব সম্পদ ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২০ জনের সম্পদের হিসাব ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কোম্পানিটি পরিচালনার জন্য স্বাধীন পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদকে নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি পিকে হালদারকে দেয়া ঋণ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।

এমএম স্ট্রাকচারাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি আট কোটি টাকা পাওনার দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দিলেন।

পিকে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। এ দুই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ব্যাংকবহির্ভূত চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরই মধ্যে একটি হলো ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেড। দখল করা প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকা সরিয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ওই চার প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা এখন চরম খারাপ। একটি বিলুপ্তের পথে, বাকি তিনটিও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।

অন্যদিকে অবৈধ ব্যবসা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে পৌনে ৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রশান্ত কুমার হালদারের বিরুদ্ধে গত ৮ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।