ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমিকের সহায়তায় এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 133

নিউজ লাইট ৭১: সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকের সহায়তায় এক নারী শ্রমিককে (১৯) ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণেরর অভিযোগে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের একজন একটি দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় জামিনে ছিলেন।

এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আরেক ধর্ষক সামিউল ইসলাম।

ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়া হয়। এতে তার প্রেমিক সামিউল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার রানা সরকার (২৫), একই এলাকার আরিফ হোসেন (২৯)। এ ছাড়া পলাতক পোশাক শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা ওরফে সোহান (২২) আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রানা সরকার এর আগেও একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় জেলে যান। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবার এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সে।

মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠান হয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এক সঙ্গে চাকরির সুবাদে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অপর শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা। রবিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক নরসিংহপুর এলাকায় বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে প্রেমিক সামিউলের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় সামিউল ওই নারী শ্রমিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তার বন্ধু আরিফ হোসেনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে বসতে বলেই থেকে দরজা আটকে দেয় সামিউল। পরে আগে থেকেই ওই কক্ষে অবস্থানকারী প্রেমিক সামিউলের বন্ধু আরিফ হোসেন, রানা সরকার মিলে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারী চিৎকার দিতে চাইলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় ধর্ষণকারীরা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সোমবার ঘটনাটি জানিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ফজলুল হক জানান, নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক অপর আসামি প্রেমিক সামিউল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

Tag :

শেয়ার করুন

প্রেমিকের সহায়তায় এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণ

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: সাভারের আশুলিয়ায় প্রেমিকের সহায়তায় এক নারী শ্রমিককে (১৯) ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণেরর অভিযোগে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের একজন একটি দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় জামিনে ছিলেন।

এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন আরেক ধর্ষক সামিউল ইসলাম।

ভুক্তভোগী ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর অভিযোগ মামলা হিসেবে নেয়া হয়। এতে তার প্রেমিক সামিউল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার রানা সরকার (২৫), একই এলাকার আরিফ হোসেন (২৯)। এ ছাড়া পলাতক পোশাক শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা ওরফে সোহান (২২) আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। তার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুরে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার রানা সরকার এর আগেও একটি দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় জেলে যান। সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে আবার এক নারী শ্রমিককে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সে।

মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠান হয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এক সঙ্গে চাকরির সুবাদে আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানার এক নারী শ্রমিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে অপর শ্রমিক সামিউল ইসলাম মৃধা। রবিবার রাত ৮টার দিকে ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক নরসিংহপুর এলাকায় বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে প্রেমিক সামিউলের সঙ্গে দেখা হয়। এ সময় সামিউল ওই নারী শ্রমিককে বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তার বন্ধু আরিফ হোসেনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে বসতে বলেই থেকে দরজা আটকে দেয় সামিউল। পরে আগে থেকেই ওই কক্ষে অবস্থানকারী প্রেমিক সামিউলের বন্ধু আরিফ হোসেন, রানা সরকার মিলে ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষণের শিকার নারী চিৎকার দিতে চাইলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখায় ধর্ষণকারীরা। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই নারীকে কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়। সোমবার ঘটনাটি জানিয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টিলিজেন্স) ফজলুল হক জানান, নারী শ্রমিককে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে নরসিংহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পলাতক অপর আসামি প্রেমিক সামিউল ইসলাম মৃধাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নারী শ্রমিককে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।