নামফলক-বিলবোর্ড-ব্যানার বাংলায় লিখতে
- আপডেট টাইম : ০৮:১৬:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 122
নিউজ লাইট ৭১: ২০১৪ সালে দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানের নামফলক বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। বিশেষ করে রাজধানীর অভিজাত এলকায় এই নির্দেশনা না মানার প্রবণতা বেশি। তাই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সতর্ক করে দিয়ে সব নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ব্যানার বাংলায় লিখতে সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে।
রবিবার সকালে সাইনবোর্ডে বাংলা ভাষা নিশ্চিত করতে আদালত পরিচালনার সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন এই সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেন, অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমানা করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন বলেন, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। সেই গণবিজ্ঞপ্তির পাশাপাশি যেসব প্রতিষ্ঠানের নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ব্যানার ইংরেজির পাশাপাশি বাংলায় লেখা নেই তাদের বাংলা লেখার পরামর্শ দিয়েছি। তারা যেন উৎসাহিত হয় সেজন্য আমরা তাদের তাড়া দিচ্ছি, সচেতন করছি।
তিনি জানান, সাত দিনের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানের নামফলক, সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড ও ব্যানারের ইংরেজি লেখা নিজ উদ্যোগে না সরালে সিটি করপোরেশন তা অপসারণ করে জরিমানা ও মামলার আওতায় আনবে। প্রাথমিক জরিমানা পাঁচ হাজার টাকা করা হবে। তারপরও না মানলে জারিমানার মাত্রা বাড়বে।
২০১৪ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, দূতাবাস, বিদেশি সংস্থা ও তৎসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র ব্যতীত সব প্রতিষ্ঠানের নামফলক বাংলায় লেখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করলেও সব নামফলকে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা লেখা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
জসীমউদ্দিন অ্যাভিনিউ থেকে আজমপুর পর্যন্ত এ সচেতনতামূলক অভিযান চলে। এ সময় আরএকে টাওয়ার, কেয়া ক্র্যাফট, প্যারাডাইস টাওয়ার, যমুনা ব্যাংক, বাটা, ইনফিনিটি, টপটেন, অপু, হাওয়াইসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। সাত দিনের মধ্যে বাংলায় নামফলক তৈরি করবেন বলে জানায় এ প্রতিষ্ঠানগুলো।