ঢাকা ০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে তেল, চাল ও পেঁয়াজের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে নিত্যপণ্যের দামে আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সরু চাল, সয়াবিন তেল ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে ঈদের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির দামে, কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি।

বেশ কয়েক মাস ধরে সরু চাল, বিশেষ করে মিনিকেটের দাম বাড়তির দিকে। মার্চে প্রতি কেজিতে ৫–৮ টাকা বাড়ার পর চলতি এপ্রিলের মাঝামাঝি আরও ২–৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে রশিদ, ডায়মন্ড ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল কেজিতে ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮৫–৮৮ টাকা। অন্যদিকে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম ৯৬–৯৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

বাজারে নাজিরশাইল চাল মিলছে ৮৫–৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০–৬২ টাকা, আর মোটা স্বর্ণা চাল ৫৫–৫৮ টাকায়। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোরো মৌসুমের চাল বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে প্রতি লিটার এখন ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও লিটারে ১২ টাকা বাড়ায় সাধারণ ক্রেতাদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

দেশি পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫–২০ টাকা বেড়েছে। বড় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০–৫৫ টাকায়, আর পাড়া-মহল্লার দোকানে সেটিই ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫–৪০ টাকায়।

গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম এখনো বেশ চড়া। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০–৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ও লাউ ৫০–৬০ টাকায়।

ঈদের পর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০–১৭০ টাকায়, যেখানে ঈদের আগে দাম ছিল ২২০–২৩০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম নেমে এসেছে ২২০–২৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩০০–৩৩০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আতাবুল ইসলাম বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে মিনিকেট চাল কিনছি ১০–১৫ টাকা বেশি দামে। এখন আবার তেল আর পেঁয়াজের দাম বাড়ল। মাস শেষে খরচ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

সব মিলিয়ে চাল, তেল ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কাঁধে বাড়তি চাপ ফেলেছে। সরকার ও বাজার নিয়ন্ত্রকদের কার্যকর হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

বেড়েছে তেল, চাল ও পেঁয়াজের দাম

আপডেট টাইম : ০৯:৪৭:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বাজারে নিত্যপণ্যের দামে আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সরু চাল, সয়াবিন তেল ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তবে ঈদের পর কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির দামে, কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার ও সোনালি জাতের মুরগি।

বেশ কয়েক মাস ধরে সরু চাল, বিশেষ করে মিনিকেটের দাম বাড়তির দিকে। মার্চে প্রতি কেজিতে ৫–৮ টাকা বাড়ার পর চলতি এপ্রিলের মাঝামাঝি আরও ২–৩ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে রশিদ, ডায়মন্ড ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল কেজিতে ৮৮ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৮৫–৮৮ টাকা। অন্যদিকে মোজাম্মেল ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের দাম ৯৬–৯৮ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।

বাজারে নাজিরশাইল চাল মিলছে ৮৫–৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ ও ব্রি-২৯ চাল ৬০–৬২ টাকা, আর মোটা স্বর্ণা চাল ৫৫–৫৮ টাকায়। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বোরো মৌসুমের চাল বাজারে এলে দাম কিছুটা কমতে পারে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে প্রতি লিটার এখন ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও লিটারে ১২ টাকা বাড়ায় সাধারণ ক্রেতাদের দুর্ভোগ বেড়েছে।

দেশি পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১৫–২০ টাকা বেড়েছে। বড় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০–৫৫ টাকায়, আর পাড়া-মহল্লার দোকানে সেটিই ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৩৫–৪০ টাকায়।

গ্রীষ্মকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলেও দাম এখনো বেশ চড়া। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ৬০–৮০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ও লাউ ৫০–৬০ টাকায়।

ঈদের পর বাজারে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০–১৭০ টাকায়, যেখানে ঈদের আগে দাম ছিল ২২০–২৩০ টাকা। সোনালি মুরগির দাম নেমে এসেছে ২২০–২৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ৩০০–৩৩০ টাকা।

মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আতাবুল ইসলাম বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে মিনিকেট চাল কিনছি ১০–১৫ টাকা বেশি দামে। এখন আবার তেল আর পেঁয়াজের দাম বাড়ল। মাস শেষে খরচ সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।”

সব মিলিয়ে চাল, তেল ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাদের কাঁধে বাড়তি চাপ ফেলেছে। সরকার ও বাজার নিয়ন্ত্রকদের কার্যকর হস্তক্ষেপ না হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজ লাইট ৭১