ঢাকা ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 24

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লাগা আগুনের ঘটনায়  ১১ জন দগ্ধদের মধ্যে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত শাউলি বেগমের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ভর্তি ১০ জনের মধ্যে সূর্য্য বেগমের (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেলের (৩৮) ১০ শতাংশ, সুমন রহমানের (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তারের (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেনের (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদীর (৭) ১০ শতাংশ ও জহুরা বেগমের (৭০) ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের গুমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর দোতলা বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন মো. সুমন। শবে বরাত উপলক্ষে গত শুক্রবার সুমনের মা ও ভাই সোহেলের পরিবার সেখানে বেড়াতে আসে। রাতের খাবারের পর পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। তাতে নারী-শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

দগ্ধ সুমনের ফুপাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। একই এলাকায় থাকেন তাঁর ভাই সোহেলও। সুমন গ্রাফিকসে কাজ করেন আর সোহেল গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কোম্পানিতে কাজ করেন। তাদের বোন শিউলি থাকতেন নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা। শবে বরাত উপলক্ষে গতকাল সবাই সুমনদের বাসায় যান। রাতে পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ১২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে লাগা আগুনের ঘটনায়  ১১ জন দগ্ধদের মধ্যে শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহত শাউলি বেগমের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

ভর্তি ১০ জনের মধ্যে সূর্য্য বেগমের (৫০) ৭ শতাংশ, সোহেলের (৩৮) ১০ শতাংশ, সুমন রহমানের (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তারের (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার (৩ মাস) ৯ শতাংশ, মনির হোসেনের (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদীর (৭) ১০ শতাংশ ও জহুরা বেগমের (৭০) ৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের গুমাইল এলাকার আমজাদ ব্যাপারীর দোতলা বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটে।

দগ্ধ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দোতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন মো. সুমন। শবে বরাত উপলক্ষে গত শুক্রবার সুমনের মা ও ভাই সোহেলের পরিবার সেখানে বেড়াতে আসে। রাতের খাবারের পর পিঠা বানানোর সময় হঠাৎ রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে ঘরে আগুন ধরে যায়। তাতে নারী-শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

দগ্ধ সুমনের ফুপাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। একই এলাকায় থাকেন তাঁর ভাই সোহেলও। সুমন গ্রাফিকসে কাজ করেন আর সোহেল গার্মেন্টস এক্সেসরিজের কোম্পানিতে কাজ করেন। তাদের বোন শিউলি থাকতেন নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম মুন্সিগঞ্জের বাসিন্দা। শবে বরাত উপলক্ষে গতকাল সবাই সুমনদের বাসায় যান। রাতে পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে।

নিউজ লাইট ৭১