চীন ফেরত এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে নিয়ে চলছে তোলপাড়
- আপডেট টাইম : ০৮:২০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / 110
নিউজ লাইট ৭১: করোনাভাইরাস’ আক্রান্ত সন্দেহে রায়হান আহমেদ (২৮) নামে চীন ফেরত এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে নিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চলছে তোলপাড়। চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। পুলিশ প্রহরায় বিশেষ ওয়ার্ডে ওই রোগীকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। রায়হান আহমেদ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকার আব্দুন নূরের পুত্র। তিনি চীনে মেডিক্যাল ইন্টার্নি কোর্স করতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর গত ১ ফেব্রুয়ারি চীনের উহান প্রদেশ থেকে দেশে ফেরেন ৩১৬ জন বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে রায়হান আহমেদও ছিলেন। দেশে ফেরার পর অন্য সবার মতো তিনিও মেডিক্যাল চেকআপ-এর জন্য রাজধানীর আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে ছিলেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে রায়হান অসুস্থবোধ করলে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। এ সময় তাকে ঘিরে শুরু হয় তোলপাড়। চিকিৎসক-নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অনেক রোগী ও স্বজনকে তখন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যেতেও দেখা যায়। তবে রায়হান বারবার দাবি করেন তিনি করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। এক পর্যায়ে তিনি আতঙ্ক কমাতে চিকিৎসা না নিয়েই বাসায় ফিরে যান।
এদিকে, বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ প্রশাসনের। রবিবার সন্ধ্যার পর হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ রায়হান আহমেদকে বাসা থেকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য পুলিশ প্রহরায় হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৫ম তলায় বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়।
হবিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রায়হান আহমেদকে সদর হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা সরঞ্জাম না থাকায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার রক্তের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সোমবার পরীক্ষার ফলাফল আসার কথা’।
তিনি বলেন, যেহেতু তাকে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। সেহেতু তার শরীরে করোনাভাইরাস থাকার আশঙ্কা নেই।
তিনি আরো জানান, এই রোগীকে হাসপাতালের ৫ম তলায় একেবারেই বিচ্ছিন্ন একটি স্থানে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য কোনো রোগীর আতঙ্কের কিছু নেই।