ঢাকা ০৬:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক, প্লাস্টিক, পাট, চামড়া এবং হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ব বাজারে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 111

নিউজ লাইট ৭১: জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাঁচ দিনব্যাপী গৃহস্থালির পণ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক মেলা, যা জার্মান ভাষায় ‘আম্বিয়ান্তে’ নামে পরিচিত। এ বছর ৯৪ দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোম্পানি এ মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক, পাট এবং সিরামিক শিল্পের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ৩৪টি কোম্পানি এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলায় প্রায় ১৭০টি দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। গৃহস্থালির পণ্য সামগ্রী বিশ্বে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ফ্রাঙ্কফুটের এ মেলা বিশ্বের সর্ববৃহৎ বলে জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার প্রধান নির্বাহী ডেটলফ ব্রাউন।

বাংলাদেশের পাটশিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ বছরের মেলাকে। এ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া মেলা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, সোনালি আঁশ পাটের যৌবন আবারো ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে আম্বিয়ান্তে ২০২০ এ অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।

আরএফএল গ্রুপের আন্তর্জাতিক বিপণন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান মজুমদার জানান, এবার নিয়ে তারা দশমবারের মতো এ মেলায় অংশ নিয়েছেন। হোম, কিচেনসহ নয় ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে তারা এবারের মেলায় এসেছেন। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করা মুন্নু সিরামিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য আম্বিয়েন্তে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের যোগসূত্র স্থাপন করতে ‘আম্বিয়ান্তে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক, প্লাস্টিক, পাট, চামড়া এবং হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ছিল মেলার শেষদিন।

Tag :

শেয়ার করুন

বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক, প্লাস্টিক, পাট, চামড়া এবং হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ব বাজারে

আপডেট টাইম : ০৮:২২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাঁচ দিনব্যাপী গৃহস্থালির পণ্য সামগ্রীর আন্তর্জাতিক মেলা, যা জার্মান ভাষায় ‘আম্বিয়ান্তে’ নামে পরিচিত। এ বছর ৯৪ দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার কোম্পানি এ মেলায় অংশগ্রহণ করে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।

বাংলাদেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক, পাট এবং সিরামিক শিল্পের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ৩৪টি কোম্পানি এ বছর মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলায় প্রায় ১৭০টি দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। গৃহস্থালির পণ্য সামগ্রী বিশ্বে বাজারজাত করার ক্ষেত্রে ফ্রাঙ্কফুটের এ মেলা বিশ্বের সর্ববৃহৎ বলে জানিয়েছেন ফ্রাঙ্কফুর্ট মেলার প্রধান নির্বাহী ডেটলফ ব্রাউন।

বাংলাদেশের পাটশিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ বছরের মেলাকে। এ উপলক্ষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া মেলা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, সোনালি আঁশ পাটের যৌবন আবারো ফিরিয়ে আনতে সরকার সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ অ্যাম্বাসির কমার্শিয়াল কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম বাংলাদেশ থেকে আম্বিয়ান্তে ২০২০ এ অংশগ্রহণ করা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমান সরকার বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তার অংশ হিসেবে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।

আরএফএল গ্রুপের আন্তর্জাতিক বিপণন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান মজুমদার জানান, এবার নিয়ে তারা দশমবারের মতো এ মেলায় অংশ নিয়েছেন। হোম, কিচেনসহ নয় ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে তারা এবারের মেলায় এসেছেন। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ করা মুন্নু সিরামিক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ মাইমুনুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য আম্বিয়েন্তে ফ্রাঙ্কফুর্ট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ থেকে আগত ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন দেশের ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের যোগসূত্র স্থাপন করতে ‘আম্বিয়ান্তে ফ্রাঙ্কফুর্ট’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাই বাংলাদেশে উৎপাদিত সিরামিক, প্লাস্টিক, পাট, চামড়া এবং হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিশ্ব বাজারে পৌঁছে দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার ছিল মেলার শেষদিন।