ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই ভাবীর পরকীয়ার বলি হলেন মুস্তাকিন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 16

ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই ভাবির সঙ্গে একজনের পরকীয়া জেনে ফেলায় দেবর মোস্তাকিন মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোস্তাকিনের বড় ভাবি রোজিনা আক্তার (২৯) ও তাছলিমা আক্তার (২৫)। পরকীয়া প্রেমিক রায়হান উদ্দিনের দেওয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রায়হান জবানবন্দিতে বলেন, তিন বছর ধরে তাছলিমা বেগম ও পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে বিচার হয়। বিচারে রায়হানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরও রায়হান প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। গত ২৪ নভেম্বর রাত অনুমান ৯টার দিকে তাদের বাড়িতে যান রায়হান। প্রথমে তাছলিমা বেগমের সঙ্গে মেলামেশা করেন। পরে রোজিনা বেগমের রুমে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। পরে দুই জা ও রায়হান পরিকল্পনা করে মোস্তাকিনকে হত্যা করে।

তাছলিমা বেগম মোস্তাকিনের দুই পা এবং রোজিনা বেগম তার হাত ও শরীর ধরে রাখেন। এসময় রায়হান বাম হাত দিয়ে মোস্তাকিনের মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। পরে রায়হান পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর মোস্তাকিনের ভাবিরা চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ রোজিনা ও তাছলিমাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজিনা ও তাছলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়া প্রেমের ঘটনাটি দেখে ফেলায় মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে।’

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

দুই ভাবীর পরকীয়ার বলি হলেন মুস্তাকিন

আপডেট টাইম : ১২:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই ভাবির সঙ্গে একজনের পরকীয়া জেনে ফেলায় দেবর মোস্তাকিন মিয়াকে গলাকেটে হত্যার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোস্তাকিনের বড় ভাবি রোজিনা আক্তার (২৯) ও তাছলিমা আক্তার (২৫)। পরকীয়া প্রেমিক রায়হান উদ্দিনের দেওয়া তথ্যে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রায়হান জবানবন্দিতে বলেন, তিন বছর ধরে তাছলিমা বেগম ও পরে বড় ভাবি রোজিনা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক হয় তার। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামে বিচার হয়। বিচারে রায়হানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপরও রায়হান প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। গত ২৪ নভেম্বর রাত অনুমান ৯টার দিকে তাদের বাড়িতে যান রায়হান। প্রথমে তাছলিমা বেগমের সঙ্গে মেলামেশা করেন। পরে রোজিনা বেগমের রুমে যাওয়ার সময় মোস্তাকিন দেখে ফেলে। পরে দুই জা ও রায়হান পরিকল্পনা করে মোস্তাকিনকে হত্যা করে।

তাছলিমা বেগম মোস্তাকিনের দুই পা এবং রোজিনা বেগম তার হাত ও শরীর ধরে রাখেন। এসময় রায়হান বাম হাত দিয়ে মোস্তাকিনের মুখ চেপে ধরে ডান হাত দিয়ে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করেন। পরে রায়হান পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের পর মোস্তাকিনের ভাবিরা চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ রোজিনা ও তাছলিমাকে গ্রেপ্তার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোজিনা ও তাছলিমার সঙ্গে রায়হানের পরকীয়া প্রেমের ঘটনাটি দেখে ফেলায় মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে।’

নিউজ লাইট ৭১