ঢাকা ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখন চামচিকাও লাথি মারে: জি এম কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, হাতি গর্তে পড়েছে বলে এখন চামচিকাও লাথি মারে। তবে আমরা ভিত নই। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েছি।  আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আমরা কখনো সহিংস হইনি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি জাতীয় পার্টি করে না।’

জি এম কাদের বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী আমাদের অপবাদ দিয়ে ব্রান্ডিং করার চেষ্টা করছে যে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর। সেজন্য আমাদের শাস্তি পাওয়া উচিত, রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়া উচিত ইত্যাদি। কিন্তু এসবের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এসব আমরা এতদিন গুরুত্ব দেইনি। তবে ইদানিং দেখলাম খুব বড়সড়ভাবে আমাদের পেছনে শত্রুতা চলছে।’

‘আমাদের ধংস করার যে ষড়যন্ত্র ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়েছে, এগুলো সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। আমরা মনে করেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এটি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা শেষ হচ্ছে না।’

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, ‘দেশ বিভক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কে দোষী, কে নির্দোষ তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এই রকম করেছিল শেখ হাসিনা। শাসকগোষ্ঠী বিচারের ঊর্ধ্বে। অফিস জ্বালিয়ে দেবেন, আইনের আওতায় আনা যাবে না?’ তিনি দাবি করেন, ‘হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে মামলার নামে হেনস্তা করা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘২ নভেম্বর আমাদের সমাবেশ হবেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে জীবন দেব। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।’

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

এখন চামচিকাও লাথি মারে: জি এম কাদের

আপডেট টাইম : ০৪:৪৬:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, হাতি গর্তে পড়েছে বলে এখন চামচিকাও লাথি মারে। তবে আমরা ভিত নই। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলার বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ দিয়েছি।  আজ শুক্রবার (১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি সবসময় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। আমরা কখনো সহিংস হইনি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি জাতীয় পার্টি করে না।’

জি এম কাদের বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী আমাদের অপবাদ দিয়ে ব্রান্ডিং করার চেষ্টা করছে যে, আমরা আওয়ামী লীগের দোসর। সেজন্য আমাদের শাস্তি পাওয়া উচিত, রাজনীতি থেকে বের করে দেওয়া উচিত ইত্যাদি। কিন্তু এসবের মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। এসব আমরা এতদিন গুরুত্ব দেইনি। তবে ইদানিং দেখলাম খুব বড়সড়ভাবে আমাদের পেছনে শত্রুতা চলছে।’

‘আমাদের ধংস করার যে ষড়যন্ত্র ১৯৯০ সাল থেকে শুরু হয়েছে, এগুলো সেই ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। আমরা মনে করেছিলাম, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর এটি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু এটা শেষ হচ্ছে না।’

জি এম কাদের অভিযোগ করেন, ‘দেশ বিভক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কে দোষী, কে নির্দোষ তারা ঠিক করে দিচ্ছে। এই রকম করেছিল শেখ হাসিনা। শাসকগোষ্ঠী বিচারের ঊর্ধ্বে। অফিস জ্বালিয়ে দেবেন, আইনের আওতায় আনা যাবে না?’ তিনি দাবি করেন, ‘হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে মামলার নামে হেনস্তা করা হচ্ছে।’

শেখ হাসিনার শাসনামলের মতো আমরা আবারও বৈষম্যের শিকার বলে উল্লেখ করে জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘২ নভেম্বর আমাদের সমাবেশ হবেই। অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে জীবন দেব। ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে আমাদের বিরুদ্ধে।’

নিউজ লাইট ৭১