ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গম চরে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে একটি বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মণের কাছাকাছি বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

বুধবার দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরেরে মাঝি বাড়ির একটি হাঁসমুরগির খোড়ায়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসেন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, খাসিয়ার চরের একটি বাড়ির হাঁস-মুরগির খামারের নীচ থেকে কুমিরটি ধরা হয়েছে। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন কুমিরটিকে দেখতে পায়। সেটি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ছিল। রাতে হাঁসমুরগি খেতে উপরে উঠে আসে কুমিরটি। সেখান থেকে ধরা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে আরও চার-পাঁচটি কুমির রয়েছে। বন্যার পর থেকেই তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। খালে নামলেই আক্রমণ করছে কুমির। বাবলু ও আবু নামে দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এক কৃষকের একটি গরুও নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। বর্তমানে কুমির আতঙ্কে রয়েছে খালপাড়ের বাসিন্দারা। ভয়ে খালে নামছে না অনেকে। রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটি আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।

রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

দুর্গম চরে ধরা পড়ল বিশাল আকৃতির কুমির

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের খাসিয়ার চরে একটি বিশাল আকৃতির কুমির ধরা পড়েছে। কুমিরটির ওজন প্রায় ৫ মণের কাছাকাছি বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।

বুধবার দিবাগত রাতে খাসিয়ার চরেরে মাঝি বাড়ির একটি হাঁসমুরগির খোড়ায়ে হানা দিলে বাড়ির লোকজন কুমিরটি ধরে ফেলে। সেটিকে দক্ষিণ চরবংশীর চান্দারখাল মাছঘাটে নিয়ে আসেন তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিরটিকে বন বিভাগের লোকজন তাদের হেফাজতে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, খাসিয়ার চরের একটি বাড়ির হাঁস-মুরগির খামারের নীচ থেকে কুমিরটি ধরা হয়েছে। বুধবার সকালে স্থানীয় লোকজন কুমিরটিকে দেখতে পায়। সেটি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ছিল। রাতে হাঁসমুরগি খেতে উপরে উঠে আসে কুমিরটি। সেখান থেকে ধরা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এখানে আরও চার-পাঁচটি কুমির রয়েছে। বন্যার পর থেকেই তাদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। খালে নামলেই আক্রমণ করছে কুমির। বাবলু ও আবু নামে দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এক কৃষকের একটি গরুও নিয়ে গেছে বলে জানান তারা। বর্তমানে কুমির আতঙ্কে রয়েছে খালপাড়ের বাসিন্দারা। ভয়ে খালে নামছে না অনেকে। রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার আবুল কালাম আজাদ বলেন, স্থানীয় লোকজন কুমিরটি আটক করে। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা কুমিরটি উদ্ধার করে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করি।

রায়পুর বনবিভাগের রেঞ্জ সহকারী মতিউর রহমান সোহাগ বলেন, কুমিরটি আমাদের হেফাজতে নিয়েছি। সেটিকে জেলা অফিসে পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজ লাইট ৭১