ঢাকা ০১:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেলুনে নিয়ে গলাকেটে হত্যা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে আবু সাঈদ নামে এক পোশাক শ্রমিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা মধ্য পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতকরা তাকে ওই গ্রামের রাহানের সেলুনে এনে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

নিহত পোশাক শ্রমিক আবু সাঈদ (২৩) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

অভিযুক্ত নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া সিলেটের সদর উপজেলার মসজিদ কলোনি গোটাটিকর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেন্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে পাশের ইব্রাহিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে রাস্তার পাশে সেলুন থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ হয়। এর কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত নরসুন্দর রক্তাক্ত জামাকাপড় নিয়ে দ্রুত চলে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তাদের সন্দেহ হলে সেলুনে গিয়ে আবু সাঈদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলা থেকে নিহত আবু সাঈদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আবু সাঈদ ও নরসুন্দর খলিল একে অপরের পূর্ব পরিচিত। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সেলুনে নিয়ে গলাকেটে হত্যা

আপডেট টাইম : ০৪:১৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে আবু সাঈদ নামে এক পোশাক শ্রমিকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা মধ্য পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘাতকরা তাকে ওই গ্রামের রাহানের সেলুনে এনে গলাকেটে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

নিহত পোশাক শ্রমিক আবু সাঈদ (২৩) নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেঘনা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করতেন।

অভিযুক্ত নরসুন্দর মো. খলিল মিয়া সিলেটের সদর উপজেলার মসজিদ কলোনি গোটাটিকর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে। তিনি মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের দোতলা দোকান ভাড়া নিয়ে জেন্টস পার্লার নামক একটি সেলুন পরিচালনা করতেন। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে পাশের ইব্রাহিমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, রাতে রাস্তার পাশে সেলুন থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ হয়। এর কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত নরসুন্দর রক্তাক্ত জামাকাপড় নিয়ে দ্রুত চলে যেতে দেখেন এলাকাবাসী। পরে তাদের সন্দেহ হলে সেলুনে গিয়ে আবু সাঈদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

শ্রীপুর মডেল থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোতলা থেকে নিহত আবু সাঈদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত আবু সাঈদ ও নরসুন্দর খলিল একে অপরের পূর্ব পরিচিত। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নিউজ লাইট ৭১