ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা ও ভাঙচুর : আহত ২

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
  • / 44

নওগাঁর মান্দায় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা। এতে ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন ও বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশের পার-কালিকাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা বাদী হয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী, কাঞ্চন গ্রামের মৃত অবের আলীর ছেলে সামছুল ইসলাম, সূর্যনারায়নপুর গ্রামের মৃত খুদুর ছেলে ফিরোজ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত আলী মোল্লা বালু মহলের ইজারাদার। তিনি উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশ বালুমহাল ইজারা নিয়ে সরকারী নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিলেন। ঘটনার দিন গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উক্ত আসামীরা পার-কালিকাপুর বালুর পয়েন্টে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ৪টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করতে দিবে না বলে তারা বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরীর আদেশে তার সহযোগীরা ৪টি ড্রেজার পাইপ, ১টি ভেকুমেশিন ও ১টি ড্রাম ট্রাক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলা ও ভাংচুরের সময় ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন এবং বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় হামলাকারীরা ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেনের কাছে থাকা একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী সৈকত, আব্দুল মতিন, নাজমুল হকসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। মান্দা থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, বালুমহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। তাদের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেহেদী হাসান / নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

নওগাঁয় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা ও ভাঙচুর : আহত ২

আপডেট টাইম : ০৭:০৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪

নওগাঁর মান্দায় চাঁদার টাকা না পেয়ে বালু মহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা। এতে ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন ও বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশের পার-কালিকাপুর এলাকায়। এ ঘটনায় ইজারাদার রহমত আলী মোল্লা বাদী হয়ে উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরী, কাঞ্চন গ্রামের মৃত অবের আলীর ছেলে সামছুল ইসলাম, সূর্যনারায়নপুর গ্রামের মৃত খুদুর ছেলে ফিরোজ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২৫/৩০জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ শহরের পার-নওগাঁ মহল্লার মৃত আলহাজ্ব মিজানুর রহমানের ছেলে রহমত আলী মোল্লা বালু মহলের ইজারাদার। তিনি উপজেলার আত্রাই নদীর উজান অংশ বালুমহাল ইজারা নিয়ে সরকারী নিয়ম মেনে পরিকল্পিতভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছিলেন। ঘটনার দিন গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উক্ত আসামীরা পার-কালিকাপুর বালুর পয়েন্টে গিয়ে ম্যানেজারের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে ৪টি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করতে দিবে না বলে তারা বাঁশের লাঠি, হাসুয়া, লোহার রড, হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধভাবে হামলা চালায়। এ সময় উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত কছির চৌধুরীর ছেলে শহিদুল চৌধুরীর আদেশে তার সহযোগীরা ৪টি ড্রেজার পাইপ, ১টি ভেকুমেশিন ও ১টি ড্রাম ট্রাক ভাংচুর করে। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। হামলা ও ভাংচুরের সময় ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেন এবং বালু পয়েন্টের ম্যানেজার মামুনুর রশিদ বাধা দিলে তাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় হামলাকারীরা ভেকুমেশিনের ড্রাইভার মোতাহার হোসেনের কাছে থাকা একটি ১৫ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে এবং তার কাছে থাকা নগদ ১৬ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশী সৈকত, আব্দুল মতিন, নাজমুল হকসহ আরো অনেকে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরও ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকী দেয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদুল চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। মান্দা থানার ওসি মনসুর রহমান জানান, বালুমহালে হামলা, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে এটা শুনেছি। তাদের অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মেহেদী হাসান / নিউজ লাইট ৭১