ঢাকা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাম্প্রতিক গণপিটুনিতে সব মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 26

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক গণপিটুনিতে সব নিহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে এ রিট আবেদন দায়ের করা হয়। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে ফজলুল হক হলে তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ‘চোরের গ্যাং’ শনাক্ত করতে তাকে জেরা করা হয়। তিনি কয়েকজনের ফোন নম্বর মুখস্থ বলেন, যেগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। এতে তাকে ‘চোর’ হিসেবে উপস্থিত ছাত্রদের সন্দেহ বাড়ে। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে ক্যান্টিনে খাওয়ানো হয়।

পরে দ্বিতীয় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পেটানো হয়।মারধরের কারণে তার পা বেয়ে রক্তের ফোটা মেঝেতে পড়েছিল বলেও জানা যায়। একসময় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

একইদিন শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা।

কয়েক দফায় তাকে বেদম প্রহারের পর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শামীম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সাম্প্রতিক গণপিটুনিতে সব মৃত্যুর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

আপডেট টাইম : ০২:২৮:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক গণপিটুনিতে সব নিহতের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে এ রিট আবেদন দায়ের করা হয়। আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ১৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টা-৯টার দিকে ফজলুল হক হলে তোফাজ্জলকে চোর সন্দেহে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। পরে ‘চোরের গ্যাং’ শনাক্ত করতে তাকে জেরা করা হয়। তিনি কয়েকজনের ফোন নম্বর মুখস্থ বলেন, যেগুলোর সত্যতা পাওয়া যায়। এতে তাকে ‘চোর’ হিসেবে উপস্থিত ছাত্রদের সন্দেহ বাড়ে। পরে তাকে পিটুনি দিয়ে ক্যান্টিনে খাওয়ানো হয়।

পরে দ্বিতীয় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও পেটানো হয়।মারধরের কারণে তার পা বেয়ে রক্তের ফোটা মেঝেতে পড়েছিল বলেও জানা যায়। একসময় তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

একইদিন শিক্ষার্থীদের গণপিটুনিতে নিহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লা।

কয়েক দফায় তাকে বেদম প্রহারের পর গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা শামীম মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ লাইট ৭১