ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিঠা উৎসবকে মনে হয় বিদেশের মাঠিতে এক টুকরো বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 141

নিউজ লাইট ৭১: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও জাঁকজমকের মধ্যে দিয়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অসড্রপ মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে এবং গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনমাতানো এ মিলনমেলায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পিঠা উৎসবের আয়োজনকারী নারী নেত্রী স্বপ্না চৌধুরী। 

সাইফুল ইসলাম বাবুর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এসময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক উপল হাসান, শাহীন ফারুক, সাংস্মৃতিক সংগঠন সোনার বাংলার সদস্য আনোয়ার হোসেন মধু, রাজু আহমদ, কামাল আহমদ, মুক্তি ওয়াফি, বাংলা ইউনাইটেডের শামীম আহমদ রিংকু, তাসকিন আহমেদ উষা, আবির হোসাইন, শাহ জামাল শুভ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ওহিদ উদ্দিন, সাইফুল চৌধুরী, রুমি হুসাইন, নারগিছ পারভীন, শিলা হোসাইন, কামাল হোসেন, মিসেস শাহীন ফারুক প্রমুখ। 

পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো অডিটোরিয়াম সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। পিঠা স্টলে শোভা পায় ভাপা, দুধচিতই, চুইপিঠা, নকশি, মালপোয়া, পাটিসাপটাসহ বাহারি স্বাদের সব পিঠা। পিঠা উৎসবকে ঘিরে মেতে থাকেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোর ও বিদেশিরা। পরিপাটি করে এসব সাজানো পিঠাপুলির গায়ে লাগানো ছিল হরেক রকমের নেমপ্লেট। অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ও প্রদর্শনকারীদের সাজসজ্জাও ছিল অন্যরকম। পুরুষের নকশি করা পাঞ্জাবি, নারীদের লাল-সবুজের বাহারি শাড়িতে মুখরিত ছিল পিঠা উৎসবের নান্দনিক পরিবেশ। এসময় পিঠা উৎসবকে মনে হয় বিদেশের মাঠিতে এক টুকরো বাংলাদেশ। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান আসাদ, একরামুল হক, রনি মাওলা, আনিছ আহমেদ, বরকত উল্লাহ, রানু আহমেদ, কামাল আহমেদ, খান ফয়েজ, বাকিত চৌধুরী, নিপা চান্দ, নিম্মি আক্তার রুশনা, হোসনা বেগম, লোপা, মিনহাজ আহমদ, নাঈম আহমদ, রাশেদ আহমেদ, জায়েদ আহমেদ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পিঠাপুলির দেশ বাংলাদেশ। পিঠাপুলি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পিঠাপুলি ছাড়া শীতকাল যেন ভাবাই যায় না। কথায় আছে- শীতের পিঠা লাগে মিঠা। বাঙালির ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই শীতকে আমরা বরণ করে নিই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। বক্তারা নারীনেত্রী স্বপ্না চৌধুরীর একক আয়োজনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আগামীতে নেদারল্যান্ডসে সকলের সহযোগিতায় বড়ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হবে। 

অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আলিশা নুরী, তাসকিন আহমেদ উষা, ইয়াছমিন, মায়া, শান রমজানসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন মায়া মনি, ফিজা ও তাহমিদ ওয়াফি।  

পরে পিঠা উৎসবে পিঠা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী আসমা উল্লাহ, তানিয়া তানি, ইয়াসমিন মেহেরুন, বালিশ খেলায় বিজয়ী জিয়ান, ইশারা, ওহিদ উদ্দিনের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

Tag :

শেয়ার করুন

পিঠা উৎসবকে মনে হয় বিদেশের মাঠিতে এক টুকরো বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ১০:০৮:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: বর্ণাঢ্য আয়োজন ও জাঁকজমকের মধ্যে দিয়ে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে থাকা পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অসড্রপ মিলনায়তনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সম্মানে এবং গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্মকে পরিচিত করার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনমাতানো এ মিলনমেলায় বিপুলসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবার-পরিজন নিয়ে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পিঠা উৎসবের আয়োজনকারী নারী নেত্রী স্বপ্না চৌধুরী। 

সাইফুল ইসলাম বাবুর প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় এসময় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাসাহিত্যিক উপল হাসান, শাহীন ফারুক, সাংস্মৃতিক সংগঠন সোনার বাংলার সদস্য আনোয়ার হোসেন মধু, রাজু আহমদ, কামাল আহমদ, মুক্তি ওয়াফি, বাংলা ইউনাইটেডের শামীম আহমদ রিংকু, তাসকিন আহমেদ উষা, আবির হোসাইন, শাহ জামাল শুভ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ওহিদ উদ্দিন, সাইফুল চৌধুরী, রুমি হুসাইন, নারগিছ পারভীন, শিলা হোসাইন, কামাল হোসেন, মিসেস শাহীন ফারুক প্রমুখ। 

পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে পুরো অডিটোরিয়াম সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। পিঠা স্টলে শোভা পায় ভাপা, দুধচিতই, চুইপিঠা, নকশি, মালপোয়া, পাটিসাপটাসহ বাহারি স্বাদের সব পিঠা। পিঠা উৎসবকে ঘিরে মেতে থাকেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু কিশোর ও বিদেশিরা। পরিপাটি করে এসব সাজানো পিঠাপুলির গায়ে লাগানো ছিল হরেক রকমের নেমপ্লেট। অনুষ্ঠান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা ও প্রদর্শনকারীদের সাজসজ্জাও ছিল অন্যরকম। পুরুষের নকশি করা পাঞ্জাবি, নারীদের লাল-সবুজের বাহারি শাড়িতে মুখরিত ছিল পিঠা উৎসবের নান্দনিক পরিবেশ। এসময় পিঠা উৎসবকে মনে হয় বিদেশের মাঠিতে এক টুকরো বাংলাদেশ। 

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান আসাদ, একরামুল হক, রনি মাওলা, আনিছ আহমেদ, বরকত উল্লাহ, রানু আহমেদ, কামাল আহমেদ, খান ফয়েজ, বাকিত চৌধুরী, নিপা চান্দ, নিম্মি আক্তার রুশনা, হোসনা বেগম, লোপা, মিনহাজ আহমদ, নাঈম আহমদ, রাশেদ আহমেদ, জায়েদ আহমেদ প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পিঠাপুলির দেশ বাংলাদেশ। পিঠাপুলি এদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। পিঠাপুলি ছাড়া শীতকাল যেন ভাবাই যায় না। কথায় আছে- শীতের পিঠা লাগে মিঠা। বাঙালির ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই শীতকে আমরা বরণ করে নিই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। বক্তারা নারীনেত্রী স্বপ্না চৌধুরীর একক আয়োজনকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আগামীতে নেদারল্যান্ডসে সকলের সহযোগিতায় বড়ধরনের পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হবে। 

অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন আলিশা নুরী, তাসকিন আহমেদ উষা, ইয়াছমিন, মায়া, শান রমজানসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন মায়া মনি, ফিজা ও তাহমিদ ওয়াফি।  

পরে পিঠা উৎসবে পিঠা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী আসমা উল্লাহ, তানিয়া তানি, ইয়াসমিন মেহেরুন, বালিশ খেলায় বিজয়ী জিয়ান, ইশারা, ওহিদ উদ্দিনের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হয়।