ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রিজার্ভ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১০:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 26

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়ালের ভিত্তিতে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিলো দুই হাজার ৫৫ কোটি ডলার। কিন্তু আমদানি বিল পরিশোধের পর গতকাল তা এক হাজার ৯৪৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আকু হলো একটি আন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এই ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ গতকাল ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ডলার আয়ের সবচেয়ে বড় দুই উৎস রপ্তানি ও প্রবাস আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছিলো। যদিও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স আসা বাড়তে শুরু করেছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে রিজার্ভ

আপডেট টাইম : ১০:৫৩:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ম্যানুয়ালের ভিত্তিতে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিলো দুই হাজার ৫৫ কোটি ডলার। কিন্তু আমদানি বিল পরিশোধের পর গতকাল তা এক হাজার ৯৪৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আকু হলো একটি আন্তর্দেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এই ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ গতকাল ১.৩৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নেমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ডলার আয়ের সবচেয়ে বড় দুই উৎস রপ্তানি ও প্রবাস আয় প্রত্যাশার চেয়ে কম এসেছিলো। যদিও গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাস থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স আসা বাড়তে শুরু করেছে।

নিউজ লাইট ৭১