ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেখাকে হাতেনাতে ধরেছিলেন জয়া

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের অন্যতম আলোচিত জুটি অমিতাভ বচ্চন ও রেখা। পর্দায় একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই দুই অভিনয়শিল্পী। যে কারণে দু’জনকে নিয়ে চর্চাও কম নেই। ৭০-এর দশকে অমিতাভ এবং রেখা বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সে সময়ের বিখ্যাত সব ছবি দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে নিয়ে যায় দু’জজনকে। 

অমিতাভ বচ্চন ও রেখা। এই দুই নাম একসঙ্গে বলা মানেই যেন উপচে পড়া প্রেম। তাদের সম্পর্কের কথা, প্রেমের কথা গোটা ভারত জানে।

অথচ, তারা কেউ কারও জীবনসঙ্গী নন। অমিতাভ রেখার প্রেম অমিতাভের স্ত্রী জয়া ভাদুড়িরও অজানা ছিল না। যদিও কখনওই প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেননি জয়া। তবে এই সম্পর্কে তার মনে আঘাত এনে দিত, তা বেশ স্পষ্ট ছিল। এমনকি রেখার সঙ্গে নাকি অমিতাভকে হাতেনাতেও ধরে ফেলেছিলেন তিনি।

শোনা যায়, সিনেমার শুটিং চলাকালীন একদিন জয়া আসেন অমিতাভের সঙ্গে দেখা করতে। তখনই অন্তরঙ্গ মুহূর্তে রেখার সঙ্গে স্বামীকে দেখে ফেলেন জয়া। তারপর নিজেকে আর সামলাতে পারেননি অমিতাভপত্নী। কষিয়ে এক থাপ্পড় মেরে দেন রেখাকে।

অমিতাভের প্রতি তার ভালবাসার কথা কখনও লুকিয়ে রাখেননি রেখা। বরং বারবার বলেছেন, তিনি ভালবেসেছেন কোনও স্বার্থ ছাড়া, কোনও কিছু পাওয়ার আশা ছাড়াই।  বিয়ে বা কোনও কিছুর পাওয়ার আশায় এই সম্পর্কে জড়াননি।

একাধিকবার সিঁথিতে সিঁদুর পরতে দেখা গেছে রেখাকে৷ স্বামী নেই, তবুও কেনও সিঁদুর পরেন? এই প্রশ্নও বহুবার উঠেছে৷ অভিনেত্রীও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাউকে একবার ভালবাসলে, তা সহজে মিলিয়ে যায় না৷ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ তিনি৷

তাদের প্রেমের গল্প দো আনজানে সিনেমার সেটে শুরু হয়েছিল, যখন অমিতাভ একজন বিবাহিত পুরুষ ছিলেন। তাদের গোপন সম্পর্কের প্রথম দিনগুলোতে, দুজন রেখার বন্ধুর একটি বাংলোতে দেখা করতেন।

জয়া বচ্চন রেখাকে বাড়িতে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাকে সরাসরি জানিয়ে দেন- যাই ঘটুক না কেন তিনি তার স্বামীকে কখনই ছেড়ে যাবেন না।

একইভাবে জয়া তার প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন শেষ অবধি। রেখা অবশেষে বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি হয় মিসেস বচ্চন হতে চান নয়তো অবিবাহিত থাকতে চান!

অমিতাভ প্রাচীন পন্থী, এমনই জানান তার সহকর্মীরা। পরিবারের ঐতিহ্য এবং ভাবমূর্তি রক্ষার দায় ছিল। যে কারণে পরিবার, সন্তানদের রক্ষা করার জন্য কোনও দিন প্রকাশ্যে রেখার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি তিনি। বিয়ের কথাও ভাবেননি ।

অন্যদিকে, রেখা সাহসের সাথে তার প্রতি ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছেন। সিলসিলা ছিল এই রহস্যময় জুটির একসঙ্গে শেষ ছবি। এরপর আর একত্রে দেখা যায়নি বলিউডের চর্চিত এই যুগলকে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

রেখাকে হাতেনাতে ধরেছিলেন জয়া

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বলিউডের অন্যতম আলোচিত জুটি অমিতাভ বচ্চন ও রেখা। পর্দায় একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই দুই অভিনয়শিল্পী। যে কারণে দু’জনকে নিয়ে চর্চাও কম নেই। ৭০-এর দশকে অমিতাভ এবং রেখা বেশ কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। সে সময়ের বিখ্যাত সব ছবি দর্শকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে নিয়ে যায় দু’জজনকে। 

অমিতাভ বচ্চন ও রেখা। এই দুই নাম একসঙ্গে বলা মানেই যেন উপচে পড়া প্রেম। তাদের সম্পর্কের কথা, প্রেমের কথা গোটা ভারত জানে।

অথচ, তারা কেউ কারও জীবনসঙ্গী নন। অমিতাভ রেখার প্রেম অমিতাভের স্ত্রী জয়া ভাদুড়িরও অজানা ছিল না। যদিও কখনওই প্রকাশ্যে এ নিয়ে কথা বলেননি জয়া। তবে এই সম্পর্কে তার মনে আঘাত এনে দিত, তা বেশ স্পষ্ট ছিল। এমনকি রেখার সঙ্গে নাকি অমিতাভকে হাতেনাতেও ধরে ফেলেছিলেন তিনি।

শোনা যায়, সিনেমার শুটিং চলাকালীন একদিন জয়া আসেন অমিতাভের সঙ্গে দেখা করতে। তখনই অন্তরঙ্গ মুহূর্তে রেখার সঙ্গে স্বামীকে দেখে ফেলেন জয়া। তারপর নিজেকে আর সামলাতে পারেননি অমিতাভপত্নী। কষিয়ে এক থাপ্পড় মেরে দেন রেখাকে।

অমিতাভের প্রতি তার ভালবাসার কথা কখনও লুকিয়ে রাখেননি রেখা। বরং বারবার বলেছেন, তিনি ভালবেসেছেন কোনও স্বার্থ ছাড়া, কোনও কিছু পাওয়ার আশা ছাড়াই।  বিয়ে বা কোনও কিছুর পাওয়ার আশায় এই সম্পর্কে জড়াননি।

একাধিকবার সিঁথিতে সিঁদুর পরতে দেখা গেছে রেখাকে৷ স্বামী নেই, তবুও কেনও সিঁদুর পরেন? এই প্রশ্নও বহুবার উঠেছে৷ অভিনেত্রীও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাউকে একবার ভালবাসলে, তা সহজে মিলিয়ে যায় না৷ এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে নারাজ তিনি৷

তাদের প্রেমের গল্প দো আনজানে সিনেমার সেটে শুরু হয়েছিল, যখন অমিতাভ একজন বিবাহিত পুরুষ ছিলেন। তাদের গোপন সম্পর্কের প্রথম দিনগুলোতে, দুজন রেখার বন্ধুর একটি বাংলোতে দেখা করতেন।

জয়া বচ্চন রেখাকে বাড়িতে ডিনারের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তাকে সরাসরি জানিয়ে দেন- যাই ঘটুক না কেন তিনি তার স্বামীকে কখনই ছেড়ে যাবেন না।

একইভাবে জয়া তার প্রতিশ্রুতি রেখেছিলেন শেষ অবধি। রেখা অবশেষে বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি হয় মিসেস বচ্চন হতে চান নয়তো অবিবাহিত থাকতে চান!

অমিতাভ প্রাচীন পন্থী, এমনই জানান তার সহকর্মীরা। পরিবারের ঐতিহ্য এবং ভাবমূর্তি রক্ষার দায় ছিল। যে কারণে পরিবার, সন্তানদের রক্ষা করার জন্য কোনও দিন প্রকাশ্যে রেখার সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি তিনি। বিয়ের কথাও ভাবেননি ।

অন্যদিকে, রেখা সাহসের সাথে তার প্রতি ভালোবাসার কথা স্বীকার করেছেন। সিলসিলা ছিল এই রহস্যময় জুটির একসঙ্গে শেষ ছবি। এরপর আর একত্রে দেখা যায়নি বলিউডের চর্চিত এই যুগলকে।

নিউজ লাইট ৭১