ঢাকা ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • / 24

ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে সাদিকুল ইসলাম (১৯) নামের এক বাদাম বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে জেলার ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার সাদিকুল ইসলাম উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কিনার আলগী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় বাদাম বিক্রেতা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। মেয়েটি উপজেলার একটি গ্রামে তার নানাবাড়িতে থাকতো। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন অভিযুক্ত সাদিকুল। কিন্তু কিশোরী প্রস্তাবে রাজি ছিল না। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে ঘর থেকে বের হয়। তখন ঘরের পাশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাদিকুল তার দুই বন্ধু রিফাত (২০) ও শরীফের (২১) সহায়তায় তাকে তুলে নিয়ে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান। সেখানে মুখ বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান সাদিকুল। পরে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পরদিন বিকেলে ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বুধবার রাতে ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে সাদিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গফরগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ

আপডেট টাইম : ০২:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় এক কিশোরীকে (১২) ধর্ষণের অভিযোগে সাদিকুল ইসলাম (১৯) নামের এক বাদাম বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে জেলার ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতার সাদিকুল ইসলাম উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চর কিনার আলগী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় বাদাম বিক্রেতা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। মেয়েটি উপজেলার একটি গ্রামে তার নানাবাড়িতে থাকতো। তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন অভিযুক্ত সাদিকুল। কিন্তু কিশোরী প্রস্তাবে রাজি ছিল না। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে ঘর থেকে বের হয়। তখন ঘরের পাশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সাদিকুল তার দুই বন্ধু রিফাত (২০) ও শরীফের (২১) সহায়তায় তাকে তুলে নিয়ে পাশের একটি বাঁশঝাড়ে নিয়ে যান। সেখানে মুখ বেঁধে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান সাদিকুল। পরে স্বজনরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।

ঘটনার পরদিন বিকেলে ভুক্তভোগী কিশোরীর নানা বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে বুধবার রাতে ভালুকা পৌর শহরের মেজর ভিটা এলাকা থেকে সাদিকুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গফরগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নিউজ লাইট ৭১