ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ গৌরীপুরের ১১টি স্বয়ংক্রিয় ও ১৫টি চাল কলের মালিকরা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 88

নিউজ লাইট ৭১: মূলধারা সাংবাদিক এমনকি স্থানীয় কোনো পর্যায়ের সাংবাদিককে না জানিয়ে কথিত অচেনা, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের নামসর্বস্ব সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ গৌরীপুরের ১১টি স্বয়ংক্রিয় ও ১৫টি চাল কলের মালিকরা।

মিলাররা জানান, চলতি আমন সংগ্রহ অভিযান সংগ্রহ হওয়ার পর থেকে তাদের দৌরাত্ম্য চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েক দফায় কথিত সাংবাদিক নামধারী উক্ত ব্যক্তিরা রাইস মিলগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে। তাদের অনৈতিক অন্যায় আবদার না রাখার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি অনিবন্ধিত ও অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের‘গৌরীপুরের বন্ধ মিলের নামে বরাদ্দ’ শিরোনামে কাল্পনিক মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

চরম ক্ষুদ্ধ রাইস মিল মালিকরা এ সকল হলুদ সাংবাদিকের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের সরজমিনে রাইস মিলগুলো পরিদর্শন পূর্বক কোনো বন্ধ মিলের নামে বরাদ্দ আছে তা যাচাই-বাছাই করার জন্য অনুরোধ জানান।

এর প্রেক্ষিতে শনিবার গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার ও সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদের নেতৃত্বে একদল সাংবাদিক চুক্তিবদ্ধ ২৬টি রাইস মিল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় চুক্তিবদ্ধ ১১টি স্বয়ংক্রিয় রাইস মিল যথাক্রমে বসাক অটো রাইস মিল, নিউ চৌধুরী অটো রাইস মিল, জিসাম অটো রাইস মিল, সরকার সুপার অটো রাইস মিল, আর এম জি এগ্রো ইন্টার রাইস মিল, ইসলাম অটো রাইস মিল, হাসিনা অটো রাইস মিল, তাহসীন অটো রাইস মিল, হাসিম মেম্বার অটো রাইস মিল, বসাক অটোমেটিক রাইস মিল ও পুর্ণা অটোমেটিক রাইস মিলগুলো সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় দেখতে পায়।

এ সময় সাংবাদিকরা মিলগুলোর চালু অবস্থার স্থির ও ভিডিও চিত্রধারণ করেন। উল্লেখ্য যে, গৌরীপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে গৌরীপুর উপজেলায় বরাদ্দকৃত ২৩০৩ মেট্রিক টন চালের মধ্যে উল্লিখিত ১১টি স্বয়ংক্রিয় মিল, ২০৭৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বাকি ১৫টি চাতাল রাইস মিলের বিপরীতে মাত্র ২৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিক দল চাতাল মিলগুলো পরিদর্শন কালে ১৫টির মাঝে ১৩টি মিল চালু অবস্থায় দেখতে পায়। বাকি দুটি মিলে চাতালে ধান না থাকলেও তাদের বিদ্যুৎ সংযোগসহ মেশিনারিজ এবং গুদামে রক্ষিত ধান ও চাল দেখতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি অনলাইনে মিল সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল না পেয়ে সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে যান। সাংবাদিকতার পেশার সুনাম রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

পৌর শহরে সাতরং রাইস মিলের অন্যতম মালিক শামীম খান জানান, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনায় তারা চাতালে আপাতত ধান শুকানো বন্ধ রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন জুয়েল বলেন, গৌরীপুরের রাইস মিল মালিকরা দীর্ঘ দিন যাবত সরকারি খাদ্য গুদামে সুনামের সাথে চুক্তি অনুযায়ী চাল সংগ্রহ করেন আসছে। চাল সংগ্রহ ও বিভাজন নীতিমালা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা না থাকার কারণেই কতিপয় সাংবাদিক এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। তাদের ধারণা, এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করলেই তাদের অনৈতিক টাকার দাবি মেনে নেবে মিল মালিকরা। তাদের এ ধরণের কর্মকা- অব্যহত থাকলে কেন্দ্রীয় ও জেলা মিল মালিক সমিতির সাথে পরামর্শ ক্রমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার বলেন, অত্র উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতি মেনেই বরাদ্দ ও ধান-চাল ক্রয় চলছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।

Tag :

শেয়ার করুন

চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ গৌরীপুরের ১১টি স্বয়ংক্রিয় ও ১৫টি চাল কলের মালিকরা

আপডেট টাইম : ০৮:৫৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১: মূলধারা সাংবাদিক এমনকি স্থানীয় কোনো পর্যায়ের সাংবাদিককে না জানিয়ে কথিত অচেনা, অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের নামসর্বস্ব সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য ও চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে চুক্তিবদ্ধ গৌরীপুরের ১১টি স্বয়ংক্রিয় ও ১৫টি চাল কলের মালিকরা।

মিলাররা জানান, চলতি আমন সংগ্রহ অভিযান সংগ্রহ হওয়ার পর থেকে তাদের দৌরাত্ম্য চরম আকার ধারণ করেছে। কয়েক দফায় কথিত সাংবাদিক নামধারী উক্ত ব্যক্তিরা রাইস মিলগুলোতে গিয়ে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবি করে। তাদের অনৈতিক অন্যায় আবদার না রাখার কারণে সম্প্রতি কয়েকটি অনিবন্ধিত ও অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের‘গৌরীপুরের বন্ধ মিলের নামে বরাদ্দ’ শিরোনামে কাল্পনিক মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

চরম ক্ষুদ্ধ রাইস মিল মালিকরা এ সকল হলুদ সাংবাদিকের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সকল সাংবাদিকদের সরজমিনে রাইস মিলগুলো পরিদর্শন পূর্বক কোনো বন্ধ মিলের নামে বরাদ্দ আছে তা যাচাই-বাছাই করার জন্য অনুরোধ জানান।

এর প্রেক্ষিতে শনিবার গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার ও সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদের নেতৃত্বে একদল সাংবাদিক চুক্তিবদ্ধ ২৬টি রাইস মিল পরিদর্শন করেন। সাংবাদিকবৃন্দ এ সময় চুক্তিবদ্ধ ১১টি স্বয়ংক্রিয় রাইস মিল যথাক্রমে বসাক অটো রাইস মিল, নিউ চৌধুরী অটো রাইস মিল, জিসাম অটো রাইস মিল, সরকার সুপার অটো রাইস মিল, আর এম জি এগ্রো ইন্টার রাইস মিল, ইসলাম অটো রাইস মিল, হাসিনা অটো রাইস মিল, তাহসীন অটো রাইস মিল, হাসিম মেম্বার অটো রাইস মিল, বসাক অটোমেটিক রাইস মিল ও পুর্ণা অটোমেটিক রাইস মিলগুলো সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় দেখতে পায়।

এ সময় সাংবাদিকরা মিলগুলোর চালু অবস্থার স্থির ও ভিডিও চিত্রধারণ করেন। উল্লেখ্য যে, গৌরীপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে গৌরীপুর উপজেলায় বরাদ্দকৃত ২৩০৩ মেট্রিক টন চালের মধ্যে উল্লিখিত ১১টি স্বয়ংক্রিয় মিল, ২০৭৩ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করার জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বাকি ১৫টি চাতাল রাইস মিলের বিপরীতে মাত্র ২৩০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সাংবাদিক দল চাতাল মিলগুলো পরিদর্শন কালে ১৫টির মাঝে ১৩টি মিল চালু অবস্থায় দেখতে পায়। বাকি দুটি মিলে চাতালে ধান না থাকলেও তাদের বিদ্যুৎ সংযোগসহ মেশিনারিজ এবং গুদামে রক্ষিত ধান ও চাল দেখতে পাওয়া যায়। সম্প্রতি অনলাইনে মিল সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোনো মিল না পেয়ে সাংবাদিকরা হতবাক হয়ে যান। সাংবাদিকতার পেশার সুনাম রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

পৌর শহরে সাতরং রাইস মিলের অন্যতম মালিক শামীম খান জানান, প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনায় তারা চাতালে আপাতত ধান শুকানো বন্ধ রেখেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গৌরীপুর রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি ও উপজেলা খাদ্যশস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন জুয়েল বলেন, গৌরীপুরের রাইস মিল মালিকরা দীর্ঘ দিন যাবত সরকারি খাদ্য গুদামে সুনামের সাথে চুক্তি অনুযায়ী চাল সংগ্রহ করেন আসছে। চাল সংগ্রহ ও বিভাজন নীতিমালা সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা না থাকার কারণেই কতিপয় সাংবাদিক এ ধরণের মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করেছে। তাদের ধারণা, এ ধরণের সংবাদ পরিবেশন করলেই তাদের অনৈতিক টাকার দাবি মেনে নেবে মিল মালিকরা। তাদের এ ধরণের কর্মকা- অব্যহত থাকলে কেন্দ্রীয় ও জেলা মিল মালিক সমিতির সাথে পরামর্শ ক্রমে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার বলেন, অত্র উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতি মেনেই বরাদ্দ ও ধান-চাল ক্রয় চলছে। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি।