কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকায় বসানো হয়েছে ৯৬টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা
- আপডেট টাইম : ১০:৫৮:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
- / 112
নিউজ লাইট ৭১: কক্সবাজারের চকরিয়া পৌর এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চুরি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতারোধে বসানো হয়েছে ৯৬টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। চলছে পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌর সদরের বক্স রোড়ের চিরিংগা জমজম হাসপাতাল থেকে শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাসটার্মিনাল পর্যন্ত এবং পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অলিগলিতে এসব ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এর ফলে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ পৌর এলাকার অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা এ সিসি ক্যামরার আওতায় আসবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য তুলে ধরেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। এ সময় বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় কর্মরত গনমাধ্যমকর্মীসহ ইউএনও অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইউএনও নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, চকরিয়া পৌর এলাকায় ইভটিজিং, ছিনতাই, চুরি, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতারোধে বসানো হয়েছে ৯৬টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। এখন চলছে পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণ। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা কতৃপক্ষ, পৌর শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহায়তায় এসব সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
আগামী র্ফেরুয়ারী মাসের শুরুর দিকে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে এসব সিসি ক্যামরা উদ্বোধন করবেন।
ইউএনও আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ অগ্রনী ভূমিকা পালন, স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংসহ নানা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, পৌর এলাকার মার্কেট সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও পৌর এলাকার হাসপাতাল এবং ব্যাংক সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যেই এসব সিসি ক্যামরা সমূহ স্থাপন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌর সদরের চিরিংগা জমজম হাসপাতাল থেকে শহীদ আব্দুল হামিদ পৌর বাসটার্মিনাল এবং পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অলিগলির অন্তত ৫ কিলোমিটার এলাকা স্থাপিত এসব সিসি ক্যামরার আওতায় আসবে।
চিরিংগা পুলিশ বক্সে স্থাপিত ছয়টি মনিটরের মাধ্যমে এসব সিসি ক্যামরাসমুহ পর্যবেক্ষণ করা হবে। সিসি ক্যামরাসমূহের সার্বিক নিয়ন্ত্রক হিসেবে থাকবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী সহ-পর্যক্ষেক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, পৌর মার্কেট, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক ও সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।
ইউএনও শিবলী নোমান বলেন, পৌর সদরে স্থাপিত এসব সিসি ক্যামেরাসমুহ খুবই অত্যাধুনিক। ক্যামরাগুলো নাইট ভিশনের ও পুরোপুরি আইপি ক্যামেরা। ফলে এসব ক্যামরার আওতাধীন যেখানেই কোন অপরাধমুলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হবে তা সহজেই ধরা পড়বে। আবার কোন দুষ্ঠচক্র যদি ওই ক্যামেরা চুরি বা ক্যাবল কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে সহজেই শনাক্ত হয়ে যাবে।