ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • / 25

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ১৪ দফায় শেষ পর্যায়ের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তার এই সাক্ষ্য দেন। মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আসামির আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় তাকে সেই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

তবে মামুনুলের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী সাক্ষ্য প্রদানের সময় তাকে জেরা করা হলে তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আলামত কে সংগ্রহ করেছে? তিনি সংগ্রহ করেছেন দাবি করলেও কে সিলগালা করেছে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। আমরা আদালতে এ মামলার জেরার মাধ্যমে সাক্ষীদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সময় চেয়েছি। পাশাপাশি আমরা আদালতে মামুনুল হকের জামিন চেয়েছি। আদালত জানিয়েছে বিষয়টি বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এমন দাবির স্বপক্ষে মামুনুল হক এখন পর্যন্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য শেষ হয়েছে

আপডেট টাইম : ০৮:১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় এক নারীর করা ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে ১৪ দফায় শেষ পর্যায়ের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এস এম শফিকুল ইসলাম আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তার এই সাক্ষ্য দেন। মামলার পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আসামির আইনজীবীরা আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় তাকে সেই কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

তবে মামুনুলের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারী সাক্ষ্য প্রদানের সময় তাকে জেরা করা হলে তিনি অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আলামত কে সংগ্রহ করেছে? তিনি সংগ্রহ করেছেন দাবি করলেও কে সিলগালা করেছে তার সঠিক উত্তর দিতে পারেননি। আমরা আদালতে এ মামলার জেরার মাধ্যমে সাক্ষীদের আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সময় চেয়েছি। পাশাপাশি আমরা আদালতে মামুনুল হকের জামিন চেয়েছি। আদালত জানিয়েছে বিষয়টি বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। এ ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে ওই নারী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। তবে এমন দাবির স্বপক্ষে মামুনুল হক এখন পর্যন্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি।

নিউজ লাইট ৭১