ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪
  • / 33

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শ্রীমন্ত নদের ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী-রামপুর সংযোগ ব্রিজের এই অবস্থা। ৩ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়াও যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। নেই বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থাও। লোকজন বাধ্য হয়ে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে জাপান সরকার (জাইকা) অর্থায়নে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজটি যৌথভাবে পায় বরিশালের এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ও মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।

কাজটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর ৩ বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি ব্রিজটির কাজ। তবে ব্রিজ নির্মাণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. রিংকু বেগম বলেন, নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করে কয়েক বছর ফেলে রাখা হয়েছে। বিকল্প যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে নদীর দুই পারের মানুষজনকে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু কোন গাড়ি পার হতে পারে না। পায়ে হেঁটে পার হতে হয়। ফলে কোন লোক মৃত্যুবরণ করলে ব্রিজের ওপর গাড়ি থামিয়ে স্ট্রেতে করে লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, ব্রিজটি নিয়ে আমরা অনেক সমস্যা আছি। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে পরে আছে। গাড়ি নিয়ে আমরা পারাপার হতে পারিনা। খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।

গাড়ি চালক আব্দুস সালাম বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ করার কোন নামই নাই। অন্যদিকে পুরাতন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা গাড়ি পার করতে পারছি না। ব্রিজের ঢালে যাত্রী নামিয়ে দিতে হয়। এতে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান হচ্ছে।

ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার মো. পারভেজ আকন বলেন, আমি এখানে সাত মাস হয়েছে এসেছি। কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সময় বৃদ্ধিকরণের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রিজের কাজ শেষ হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বাদশা বলেন, ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছুটা গাফিলতি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

ব্রিজ নির্মাণে ধীরগতি

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শ্রীমন্ত নদের ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কাঠালতলী-রামপুর সংযোগ ব্রিজের এই অবস্থা। ৩ বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কাজ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। ফলে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়াও যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। নেই বিকল্প পারাপারের ব্যবস্থাও। লোকজন বাধ্য হয়ে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা এলজিইডি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে জাপান সরকার (জাইকা) অর্থায়নে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৬ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণের কাজটি যৌথভাবে পায় বরিশালের এম এম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লি. ও মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন।

কাজটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী বিভাগ। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর ৩ বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি ব্রিজটির কাজ। তবে ব্রিজ নির্মাণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. রিংকু বেগম বলেন, নতুন ব্রিজের কাজ শুরু করে কয়েক বছর ফেলে রাখা হয়েছে। বিকল্প যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে নদীর দুই পারের মানুষজনকে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু কোন গাড়ি পার হতে পারে না। পায়ে হেঁটে পার হতে হয়। ফলে কোন লোক মৃত্যুবরণ করলে ব্রিজের ওপর গাড়ি থামিয়ে স্ট্রেতে করে লাশ বাড়ি নিয়ে যেতে হয়। এটা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর।

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মো. সুমন বলেন, ব্রিজটি নিয়ে আমরা অনেক সমস্যা আছি। ৩ বছরের বেশি সময় ধরে পরে আছে। গাড়ি নিয়ে আমরা পারাপার হতে পারিনা। খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।

গাড়ি চালক আব্দুস সালাম বলেন, নতুন ব্রিজ নির্মাণ কাজ শুরু করে শেষ করার কোন নামই নাই। অন্যদিকে পুরাতন ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা গাড়ি পার করতে পারছি না। ব্রিজের ঢালে যাত্রী নামিয়ে দিতে হয়। এতে আমাদের অনেক আর্থিক লোকসান হচ্ছে।

ব্রিজ নির্মাণের দায়িত্বরত ইঞ্জিনিয়ার মো. পারভেজ আকন বলেন, আমি এখানে সাত মাস হয়েছে এসেছি। কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সময় বৃদ্ধিকরণের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্রিজের কাজ শেষ হবে।

এ বিষয়ে কথা বলতে মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর হোসেন বাদশা বলেন, ব্রিজটি নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কিছুটা গাফিলতি রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ কাজটি শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

নিউজ লাইট ৭১