‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো রাজশাহী
- আপডেট টাইম : ০৮:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
- / 135
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ওপেনার লিটন দাসের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ৪১তম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী রয়্যালস। ৪৮ বলে ৭৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন লিটন।
এই জয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো রাজশাহী। একই সাথে এবারের আসরের শীর্ষ দুইয়ে থেকে প্লে-অফ খেলাও নিশ্চিত হলো রাজশাহীর। ১২ ম্যাচ শেষে ৮জয় ৪হার নিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের শীর্ষে রাজশাহী।
১২ ম্যাচ শেষে ৮জয় ৪হার নিয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীস্থানে চট্টগ্রাম। পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে রাজশাহী। সন্ধ্যায় ঢাকা প্লাটুন ও খুলনা টাইগার্সের মধ্যকার ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে শীর্ষ দুইয়ের কোন অবস্থানে থাকবে রাজশাহী।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৮ ও নুরুল ১৭ বলে ৩০ রান করেন। জবাবে ১৪ বাকী রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় রাজশাহী রয়্যালস। পাওয়ার প্লেতে ৩৮ রান যোগ করেন চট্টগ্রামের দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ও জুনায়েদ সিদ্দিকী।
সপ্তম ওভারে চট্টগ্রামের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন রাজশাহীর স্পিনার পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ২৩ রান করা জুনায়েদকে বিদায় দেন মালিক।
নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি গেইল। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ বলে ২৩ রান করেন গেইল। তাকে শিকার করেন আফিফ। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৩টি চারে ১৯ রান থামেন ইনফর্ম ইমরুল কায়েস।
ফিরে যাওয়া তিন ব্যাটসম্যান ছোট ছোট ইনিংস খেলতে পারলেও, পাঁচ নম্বরে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি। ৬ বলে ৪ রান করেন তিনি।
ফলে ৯৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। এ অবস্থায় উইকেটে গিয়েই মারমুখী হয়ে উঠেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। দলের রানের চাকা দ্রুত ঘুড়াতে থাকেন তিনি। ১৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩০ রান করেন নুরুল। তারপরও দলের স্কোর তেমনটা বাড়েনি। নুরুল যখন ফিরেন, তখন দলের স্কোর ১৩১ রান। ইনিংসের মাত্র ৯ বল বাকী ছিলো।
শেষ ৯ বলে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন মাহমুদুল্লাহ ও জিয়াউর রহমান। যোগ করেন অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান। তাতেই ৫ উইকেটে ১৫৫ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান মাহমুদুল্লাহ। ২ বলে ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৭ রান করেন জিয়াউর ।
জয়ের জন্য ১৫৬ রানের লক্ষ্যে দুর্দান্ত সূচনা করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তুলেছিলেন তারা। মারমুখী মেজাজে ছিলেন লিটন। ২৯তম বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তিনি। তার হাফ-সেঞ্চুরি পর বিদায় নেন আফিফ। চট্টগ্রামের বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুমের বলে আউট হন ৩১ বলে ৩২ রান করা আফিফ।
এরপর পাকিস্তানের মালিককে নিয়ে ৩২ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন লিটন। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে চট্টগ্রামের জিয়াউরের বলে থামে লিটনের ইনিংস। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৮ বলে ৭৫ রান করেন তিনি। টি-২০ ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ রানের ইনিংস লিটনের। এই ইনিংসের ফলে এবারের আসরে তার রান গিয়ে দাঁড়ালো ৪২২এ।
লিটনের বিদায়ের পর রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেন মালিক ও অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন মালিক। ২ রানে অপরাজিত থাকেন রাসেল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স : ১৫৫/৫, ২০ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৪৮*, নুরুল ৩০, মালিক ১/১১)।
রাজশাহী রয়্যালস : ১৫৬/২, ১৭.৪ ওভার (লিটন ৭৫, মালিক ৪৩*, জিয়াউর ১/১৭)।
ফল : রাজশাহী রয়্যালস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : লিটন দাস (রাজশাহী রয়্যালস)।