ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুল পদ্ধতিতে ডিম খেলে হতে পারে ক্যান্সার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০
  • / 137

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ডিম অত্যন্ত কম দামের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রোটিনে ভরপুর একটি খাবার এটি। তবে ভুল পদ্ধতিতে ডিম খেলে হতে পারে ক্যান্সার।

ব্রিটেনের দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমের তরকারি একাধিকবার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের মধ্যে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ওই ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য ক্ষতিকারক। ডিমের মধ্যে থাকা হাই প্রোটিনে নাইট্রোজেনও থাকে। ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে ওই নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড্ হয়, যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের ঝোল বা অমলেট কোনোটাই গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ বা হজম, দুদিক থেকেই কাঁচা ডিমের চেয়ে এগিয়ে রান্না করা ডিম। তবে ডিমের তরকারি বারবার গরম খেলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ এবং তা হজম, দু’দিক থেকেই কাঁচা ডিমের চেয়ে রান্না করা ডিম ভালো। রান্না করা ডিমে প্রোটিনের উপস্থিতি ৯১ শতাংশ। সেখানে কাঁচা ডিমে প্রোটিনের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ।

অন্যদিকে কাঁচা ডিমে সুপাচ্য বা হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ ৩ গ্রাম। রান্না করা গোটা ডিমে সেটাই হল ৬ গ্রাম অর্থাৎ দ্বিগুণ। ডিম রান্নার সময় তার পুষ্টিগুণে গঠনগত পরিবর্তন হয়। বেড়ে যায় হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ।

এছাড়া ডিমে থাকা ট্রিপসিন এনজাইম প্রোটিন ভেঙে তা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু কাঁচা ডিমে থাকা অন্য এনজাইম বা ট্রিপসিনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে প্রোটিনের সহজপাচ্যতা বিঘ্নিত হয়।

Tag :

শেয়ার করুন

ভুল পদ্ধতিতে ডিম খেলে হতে পারে ক্যান্সার

আপডেট টাইম : ০৮:৪২:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: ডিম অত্যন্ত কম দামের পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রোটিনে ভরপুর একটি খাবার এটি। তবে ভুল পদ্ধতিতে ডিম খেলে হতে পারে ক্যান্সার।

ব্রিটেনের দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠেছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিমের তরকারি একাধিকবার গরম করলে তার প্রোটিন নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের মধ্যে নানা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। ওই ব্যাকটেরিয়া পেটের জন্য ক্ষতিকারক। ডিমের মধ্যে থাকা হাই প্রোটিনে নাইট্রোজেনও থাকে। ডিম দ্বিতীয়বার গরম করলে ওই নাইট্রোজেন অক্সিডাইজড্ হয়, যা ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।

পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিমের ঝোল বা অমলেট কোনোটাই গরম করে খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়।গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ বা হজম, দুদিক থেকেই কাঁচা ডিমের চেয়ে এগিয়ে রান্না করা ডিম। তবে ডিমের তরকারি বারবার গরম খেলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, ডিমের প্রোটিন গ্রহণ এবং তা হজম, দু’দিক থেকেই কাঁচা ডিমের চেয়ে রান্না করা ডিম ভালো। রান্না করা ডিমে প্রোটিনের উপস্থিতি ৯১ শতাংশ। সেখানে কাঁচা ডিমে প্রোটিনের উপস্থিতি ৫০ শতাংশ।

অন্যদিকে কাঁচা ডিমে সুপাচ্য বা হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ ৩ গ্রাম। রান্না করা গোটা ডিমে সেটাই হল ৬ গ্রাম অর্থাৎ দ্বিগুণ। ডিম রান্নার সময় তার পুষ্টিগুণে গঠনগত পরিবর্তন হয়। বেড়ে যায় হজমসাধ্য প্রোটিনের পরিমাণ।

এছাড়া ডিমে থাকা ট্রিপসিন এনজাইম প্রোটিন ভেঙে তা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু কাঁচা ডিমে থাকা অন্য এনজাইম বা ট্রিপসিনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে প্রোটিনের সহজপাচ্যতা বিঘ্নিত হয়।