ঢাকা ০১:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিউটি বেগমের হাত থেকে রক্ষার জন্য যশোর পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০
  • / 120

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় এক মারদাঙ্গা নারীর অত্যাচারে ওই এলাকার মানুষেরা নাজাহালের শিকার। ভারতের বোম্বে ফেরত মারদাঙ্গা নারী বিউটি বেগমের মিথ্যা মামলায় ও নানামুখি অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি শতাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।

অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ার আলাউদ্দিনের মেয়ে বিউটি বেগম এলাকায় বসতি গড়ে তোলার পর থেকে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করে আসছে। তুচ্ছ কোন ঘটনা ঘটলেই সে এলাকার নিরাপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।

অভিযোগে এলাকাবাসী দাবি করেছেন, বিউটি বেগম একজন অসামাজিক দুঃচরিত্রবান মহিলা। প্রতিদিন অপরিচিত লোকজন তার বাসায় আসা যাওয়া করে। তাছাড়া বর্তমানে সে যে স্বামীর সাথে সংসার করছে তার নাম সঞ্জয় ওরফে সবুজ। যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের নিরঞ্জনের ছেলে সে। সঞ্জয়কে মুসলমান না বানিয়ে হিন্দু ছেলের সাথে অবৈধভাবে সংসার করছে সে। এই সঞ্জয় একজন কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারি।

গত বছর খানেক আগে ১ ট্রাক ফেনসিডিলসহ ঢাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সঞ্জয়। বর্তমানে সে একাধিক মাদক মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে চলাফেরা করে।

এছাড়া বিউটি বেগম ও তার পরিবার ইতোপূর্বে ভারতের বোম্বে থাকতো। সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে প্রথমে যশোর সদরের বিরামপুরে বসবাস করতো। তারপর বিরামপুরে থাকাকালেও বিউটি বেগমের অত্যাচারে সেখানকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে স্বপরিবারে তাড়িয়ে দেয়। পরে যশোর সদরের বিরামপুর থেকে বিতাড়িত হয়ে ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় বসবাস শুরু করার পর থেকে তার বাসায় নিয়মিত অপরাধ জগতের লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় আসার পর থেকে বিউটি বেগমের অত্যাচারে কলোনীপাড়া, নিরিবিলিপাড়া ও বাস্তহারাপাড়ার নিরীহ লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সামান্য শিশুদের নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ বাধলেই সে এলাকার নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে থাকে। এমনকি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনকে হামলা-মামলা দিয়ে শায়েস্তা করাসহ নানা স্বার্থ হাসিল করে থাকে সে।

এদিকে সে আলাউদ্দীন শেখ নামে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পিতা দাবি করলেও আলাউদ্দীন শেখ তার সৎপিতা বলে জানা গেছে। যা বিউটি বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন।

অসামাজিক মহিলা বিউটি বেগম সর্বশেষ ঝুমঝুমপুর কলোনীপাড়ার দরিদ্র হাসান উল্লার প্রতিবন্ধি পুত্র কবিরুল ইসলামের স্ত্রী পলি খাতুনকে ফুঁসলিয়ে তার দুই মেয়েসহ স্থানীয় ইমরান হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে তার দর্জির দোকানের সমস্ত মালামাল আত্মসাত করে। এ ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়ে প্রতিবন্ধি কবিরুল আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে করে প্রতিবন্ধি কবিরুল ইসলামের ঘর-সংসার তছনছ হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় রাবেয়া বেগম, রিনা বেগম, হাজেরা বেগম, রেশমা বেগমসহ কয়েকজন মুরব্বি মহিলা বিউটি বেগমের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে উভয় পক্ষের মহিলাদের মধ্যে চুল টানাটানি ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় বিউটি বেগম প্রথমে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে অভিযোগ ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ভৎসনা করে চলে যায়।

পরে কোন কুল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে একই অভিযোগ এনে যশোর সদর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে সে। মামলায় অভিযুক্ত মহিলাদের বাদ দিয়ে এলাকার নিরাপরাধ শাহাজানের পুত্র কাঞ্চন, হাসান উল্লার পুত্র শরীফ, আনোয়ার হোসেনের পুত্র চান্দু, নজরুল ইসলামের পুত্র রবিন, শফিকের পুত্র আল-আমিন ও জুয়েলের বিরুদ্ধে মারপিট, মালামাল লুটপাট, চাঁদা দাবি, ছিনতাই, টাকা লুটসহ কাল্পনিক সব অভিযোগ এনে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হলে শতভাগ মিথ্যা প্রমানিত হবে।

বর্তমানে এ মামলাটি আদালতের নির্দেশে যশোর ডিবি পুলিশের এসআই সোলাইমান আক্কাস তদন্ত করছেন। নাজেহালের শিকার ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অত্যাচারি, মামলাবাজ বিউটি বেগমের হাত থেকে রক্ষার জন্য যশোর পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ সহ সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Tag :

শেয়ার করুন

বিউটি বেগমের হাত থেকে রক্ষার জন্য যশোর পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা

আপডেট টাইম : ০৯:৩৭:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় এক মারদাঙ্গা নারীর অত্যাচারে ওই এলাকার মানুষেরা নাজাহালের শিকার। ভারতের বোম্বে ফেরত মারদাঙ্গা নারী বিউটি বেগমের মিথ্যা মামলায় ও নানামুখি অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেছেন। বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি শতাধিক ব্যাক্তি স্বাক্ষরিত ওই অভিযোগ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে দাখিল করা হয়।

অভিযোগে জানা গেছে, যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ার আলাউদ্দিনের মেয়ে বিউটি বেগম এলাকায় বসতি গড়ে তোলার পর থেকে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম-অত্যাচার করে আসছে। তুচ্ছ কোন ঘটনা ঘটলেই সে এলাকার নিরাপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে।

অভিযোগে এলাকাবাসী দাবি করেছেন, বিউটি বেগম একজন অসামাজিক দুঃচরিত্রবান মহিলা। প্রতিদিন অপরিচিত লোকজন তার বাসায় আসা যাওয়া করে। তাছাড়া বর্তমানে সে যে স্বামীর সাথে সংসার করছে তার নাম সঞ্জয় ওরফে সবুজ। যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের নিরঞ্জনের ছেলে সে। সঞ্জয়কে মুসলমান না বানিয়ে হিন্দু ছেলের সাথে অবৈধভাবে সংসার করছে সে। এই সঞ্জয় একজন কুখ্যাত মাদক চোরাকারবারি।

গত বছর খানেক আগে ১ ট্রাক ফেনসিডিলসহ ঢাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় সঞ্জয়। বর্তমানে সে একাধিক মাদক মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশের ভয়ে আত্মগোপনে চলাফেরা করে।

এছাড়া বিউটি বেগম ও তার পরিবার ইতোপূর্বে ভারতের বোম্বে থাকতো। সেখান থেকে বাংলাদেশে এসে প্রথমে যশোর সদরের বিরামপুরে বসবাস করতো। তারপর বিরামপুরে থাকাকালেও বিউটি বেগমের অত্যাচারে সেখানকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে তাকে স্বপরিবারে তাড়িয়ে দেয়। পরে যশোর সদরের বিরামপুর থেকে বিতাড়িত হয়ে ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় বসবাস শুরু করার পর থেকে তার বাসায় নিয়মিত অপরাধ জগতের লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

ঝুমঝুমপুর পূর্বপাড়ায় আসার পর থেকে বিউটি বেগমের অত্যাচারে কলোনীপাড়া, নিরিবিলিপাড়া ও বাস্তহারাপাড়ার নিরীহ লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সামান্য শিশুদের নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ বাধলেই সে এলাকার নিরীহ লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করে থাকে। এমনকি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিচয় দিয়ে এলাকার নিরীহ লোকজনকে হামলা-মামলা দিয়ে শায়েস্তা করাসহ নানা স্বার্থ হাসিল করে থাকে সে।

এদিকে সে আলাউদ্দীন শেখ নামে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে পিতা দাবি করলেও আলাউদ্দীন শেখ তার সৎপিতা বলে জানা গেছে। যা বিউটি বেগমের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসী দাবি করেছেন।

অসামাজিক মহিলা বিউটি বেগম সর্বশেষ ঝুমঝুমপুর কলোনীপাড়ার দরিদ্র হাসান উল্লার প্রতিবন্ধি পুত্র কবিরুল ইসলামের স্ত্রী পলি খাতুনকে ফুঁসলিয়ে তার দুই মেয়েসহ স্থানীয় ইমরান হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে দিয়ে তার দর্জির দোকানের সমস্ত মালামাল আত্মসাত করে। এ ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়ে প্রতিবন্ধি কবিরুল আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এতে করে প্রতিবন্ধি কবিরুল ইসলামের ঘর-সংসার তছনছ হয়ে যায়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

এদিকে এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় রাবেয়া বেগম, রিনা বেগম, হাজেরা বেগম, রেশমা বেগমসহ কয়েকজন মুরব্বি মহিলা বিউটি বেগমের এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে উভয় পক্ষের মহিলাদের মধ্যে চুল টানাটানি ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় বিউটি বেগম প্রথমে কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে অভিযোগ ভুয়া প্রমানিত হওয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ভৎসনা করে চলে যায়।

পরে কোন কুল-কিনারা খুঁজে না পেয়ে একই অভিযোগ এনে যশোর সদর আদালতে একটি মামলা দায়ের করে সে। মামলায় অভিযুক্ত মহিলাদের বাদ দিয়ে এলাকার নিরাপরাধ শাহাজানের পুত্র কাঞ্চন, হাসান উল্লার পুত্র শরীফ, আনোয়ার হোসেনের পুত্র চান্দু, নজরুল ইসলামের পুত্র রবিন, শফিকের পুত্র আল-আমিন ও জুয়েলের বিরুদ্ধে মারপিট, মালামাল লুটপাট, চাঁদা দাবি, ছিনতাই, টাকা লুটসহ কাল্পনিক সব অভিযোগ এনে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত হলে শতভাগ মিথ্যা প্রমানিত হবে।

বর্তমানে এ মামলাটি আদালতের নির্দেশে যশোর ডিবি পুলিশের এসআই সোলাইমান আক্কাস তদন্ত করছেন। নাজেহালের শিকার ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অত্যাচারি, মামলাবাজ বিউটি বেগমের হাত থেকে রক্ষার জন্য যশোর পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ সহ সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।