ঢাকা ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুখবর নেই চিনি-আটার বাজারে

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / 40

ডিম, মাছ ও সবজি (ফাইল ছবি)

শীতের আগমনের পর পরই কমতে শুরু করেছিল সবজির দাম। সবজির দাম কমে মানুষের নাগালের কাছাকাছি চলে আসছিল বলা যায়। গত সপ্তাহে সবজির যে দাম ছিল আজ সেটা অপরিবর্তিতই বলা চলে। তবে শিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন প্রজাতির শিম আসাতে দাম কিছুটা বেশি। তবে কয়েকদিন পরেই কমে যাবে।

বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিচ ৪০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কচুমুখী প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এদিকে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি ১৬২-১৭৮ টাকা, কক মুরগি ২৫৬-২৬৩ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়— গরুর মাংসের দাম কমেছে ২৫০-২৮০ টাকা।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফারহান হোসেন বলেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ বলতে গেলে সব ধরনের সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি ছিল। তবে আজ বাজারে এসে দেখলাম দুই-তিনটি ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে। বাজারদর এমন থাকলে তাও সবজি কিনে খেতে পারবে সাধারণ মানুষ। অথচ কিছু দিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে কোনো সবজিই কেনা যেত না। মূলত শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় সবজির দাম কমেছে।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা বাজারে বাজার করতে আসা গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের মাছ-মাংসের দাম বাড়তি হলেও আজ সবজির দাম কমেছে। এমন দাম থাকলে তাও কিছু কিছু সবজি আমরা কিনে খেতে পারি। আজ দাম কম পেয়ে সবজি কিনেছি ঠিকই, কিন্তু সব ধরনের মাছ ও মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম এখনো বেশি। সেগুলো কিনতে হিমশিম খেতে হয়। তবে ভালো বিষয় হলো এই শীতের সময় এসে সবজির দাম অনেকটা কমেছে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তাছাড়া মাংসের দাম কমার প্রভাবও পড়েছে মাছের দামে। বেশি কমেছে চাষের মাছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।

এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনও আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।

গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সুখবর নেই চিনি-আটার বাজারে

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৩

শীতের আগমনের পর পরই কমতে শুরু করেছিল সবজির দাম। সবজির দাম কমে মানুষের নাগালের কাছাকাছি চলে আসছিল বলা যায়। গত সপ্তাহে সবজির যে দাম ছিল আজ সেটা অপরিবর্তিতই বলা চলে। তবে শিমের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, নতুন প্রজাতির শিম আসাতে দাম কিছুটা বেশি। তবে কয়েকদিন পরেই কমে যাবে।

বাজারে প্রতি কেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিচ ৪০ টাকা, মিস্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, শালগম প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া কচুমুখী প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, টমেটো প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা ও গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

এদিকে সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে বিশ্ববাজারে গমের দাম বাড়ায় আটা ও ময়দার দামও বেড়েছে। খোলা আটা কিনতে এখন ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে কেজিতে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। আর প্যাকেট আটার কেজি কিনতে খরচ হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। একইভাবে খোলা ময়দা ৬০ থেকে ৬৫ এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজারে কোনো সুখবর নেই। খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা দরে। অন্যদিকে বাজারে প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ নাই বললেই চলে। মিললে তার জন্য গুনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

ব্রয়লার মুরগি ১৬২-১৭৮ টাকা, কক মুরগি ২৫৬-২৬৩ টাকা, লেয়ার মুরগি ২২০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি ডজন লাল ডিম ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেখা যায়— গরুর মাংসের দাম কমেছে ২৫০-২৮০ টাকা।

রাজধানীর মহাখালী বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী ফারহান হোসেন বলেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ বলতে গেলে সব ধরনের সবজির দাম অতিরিক্ত বেশি ছিল। তবে আজ বাজারে এসে দেখলাম দুই-তিনটি ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম তুলনামূলক কমেছে। বাজারদর এমন থাকলে তাও সবজি কিনে খেতে পারবে সাধারণ মানুষ। অথচ কিছু দিন আগেও অতিরিক্ত দামের কারণে কোনো সবজিই কেনা যেত না। মূলত শীত মৌসুম শুরু হওয়ায় সবজির দাম কমেছে।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা বাজারে বাজার করতে আসা গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, বাজারে সব ধরনের মাছ-মাংসের দাম বাড়তি হলেও আজ সবজির দাম কমেছে। এমন দাম থাকলে তাও কিছু কিছু সবজি আমরা কিনে খেতে পারি। আজ দাম কম পেয়ে সবজি কিনেছি ঠিকই, কিন্তু সব ধরনের মাছ ও মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম এখনো বেশি। সেগুলো কিনতে হিমশিম খেতে হয়। তবে ভালো বিষয় হলো এই শীতের সময় এসে সবজির দাম অনেকটা কমেছে।

বাজারে এখন মাছের সরবরাহ ভালো। তাছাড়া মাংসের দাম কমার প্রভাবও পড়েছে মাছের দামে। বেশি কমেছে চাষের মাছে। মাঝারি মানের চাষের পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। বড় আকারের চাষের তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর মান ও আকারভেদে চাষের রুই মাছের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে চিংড়ির দাম তেমন কমেনি। প্রতি কেজি কিনতে এখনও গুনতে হচ্ছে ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা।

এখন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানে ৫৯০ থেকে ৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি হতে দেখা যায়, যা এক মাস আগের চেয়ে কেজিতে দেড়শ টাকা কম। তবে সাধারণ বাজারে এখনও আগের নিয়মে পরিমাণমতো হাড্ডিসহ মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।

গরুর মাংসের পাশাপাশি দাম কমেছে মুরগির। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৭৫ এবং সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাদা ও বাদামি রঙের ডিমের ডজন পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ১১০ ও ১২০ টাকার মধ্যে।

নিউজ লাইট ৭১