পাকিস্তান সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
- আপডেট টাইম : ০১:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
- / 109
নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: পাকিস্তান সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না। পাকিস্তানে গিয়ে কেবল টি-টোয়েন্টিই খেলতে চায় বাংলাদেশ। পাকিস্তান চায় বাংলাদেশ তাদের মাটিতে খেলুক পুরো সিরিজ। এ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চলছে দ্ব›দ্ব। তামিম-মুশফিকরা পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে যাবেন কি যাবেন না, সে নিয়ে এখনো চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। ওদিকে সিরিজ খেলার জন্য যে নিজেদের দেশ পুরোপুরি নিরাপদ, সে কথাটা বারবার বলে যাচ্ছে পাকিস্তান। এখন সে সুরে সুর মেলালেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াঁদাদ।
পাকিস্তানের ক্রিকেটের এই দুঃসময়ে বাংলাদেশের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন মিয়াঁদাদ। বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি অনুরোধ করেছেন, বাংলাদেশ যেন সিরিজ বাতিল না করে, ‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে ভাইয়ের মতো। ওদের ক্রিকেটের অবস্থা যখন নাজুক অবস্থা ছিল, তখন পাকিস্তান বাংলাদেশকে নানাভাবে সাহায্য করেছে। তাই বাংলাদেশেরও উচিত পাকিস্তানে সিরিজ খেলতে আসার মাধ্যমে পাকিস্তানকে সাহায্য করা। প্রতিবেশী এই দুই দেশের উচিত ক্রিকেটের ব্যাপারে একে অন্যকে সাহায্য করা।’
পাকিস্তান সফর নিয়ে বিসিবি-পিসিবির অবস্থান এখন মুখোমুখি। পিসিবিকে বিসিবি প্রস্তাব দিয়েছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার। এ মুহ‚র্তে পাকিস্তানের মাটিতে কিছুতেই টেস্ট খেলতে চায় না বাংলাদেশ। খেললে সেটি হতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। কিন্তু পাকিস্তান নাছোড়, তারা চায় বাংলাদেশ তাদের মাটিতে টি-টোয়েন্টির সঙ্গে টেস্ট সিরিজটাও খেলুক। বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে, সমাধান হয়নি। যদি শেষ পর্যন্ত পিসিবি তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে রাজি হয়, সেটি হয়ে যাওয়ার কথা এ মাসেই। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান অবশ্য বলছেন, পাকিস্তান সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত চ‚ড়ান্ত হবে আগামী সপ্তাহে হতে যাওয়া বোর্ড সভায়।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য সাংবাদিকদের বলেছেন, পাকিস্তান সফরে আপত্তি নেই তার। কিন্তু খেলোয়াড়েরা সবাই যেতে চান কি না, সে নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। বিসিবি সভাপতি নিজেও গত মাসে জানিয়েছিলেন, ক্রিকেটারদের অনেকেই পাকিস্তান সফরে যেতে আগ্রহী নন। কেউ কেউ যেতে চান সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যেতে। কোচিং স্টাফের বেশির ভাগই আগ্রহী নন পাকিস্তান সফরে। বিসিবিকে তাই খেলোয়াড়-কোচদের ভাবনাকেও গুরুত্ব দিতে হচ্ছে। বিসিবির তাই ভাবছে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে পাকিস্তান সফর করে আসা। দমবন্ধ পরিবেশে যেন বেশি সময় না থাকতে হয় খেলোয়াড়দের। কিন্তু পাকিস্তান এমন সংক্ষিপ্ত সফরে রাজি নয়। তাদের দাবি, সফর করলে পুরোটাই করতে হবে।
তবে এরই মধ্যে খেলোয়াড়দের ভিসাপ্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বিসিবি বলে জানা গেছে। ভিসাপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই সরকারি আদেশে খেলোয়াড়দের স্বাক্ষর নিয়েছে বোর্ড, যেটি জমা দেওয়ার নিয়ম ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে। বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলছেন, ‘জিওতে স্বাক্ষর নেওয়ার সঙ্গে পাকিস্তানে যাওয়া-না যাওয়ার সম্পর্ক নেই। সব সফরের আগে ভিসার জন্য জিওতে স্বাক্ষর নিতে হয় ক্রিকেটারদের। এখানে সে প্রক্রিয়াটাই সম্পন্ন করা হয়েছে।’
কোনো সফরের আগে হাতে যথেষ্ট সময় রেখে সাধারণত ভিসার কাজটি সম্পন্ন করে থাকে বিসিবি। আর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ক্রীড়া ফেডারেশন বা বোর্ডকে নিতে হয় সরকারি আদেশ বা জিও। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে সেটিই করছে বিসিবি।