ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে ৪০৯৬ কিলোমিটার মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • / 43

সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ, ছবি: সংগৃহীত

অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, গরু পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকানোর পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবচেয়ে বেশি কালোবাজারি বা গরু পাচার হয় পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে। তাই পাচার রুখতে দেশটির সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ। সীমান্তে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর কাঁটাতারের বেড়ায় মৌমাছির চাক বসানো হচ্ছে। মৌচাক বসানোর এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিএসএফেরে ৩২তম ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, ভারত সরকার ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ প্রোগ্রামের আওতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় মৌমাছি পালন এবং মিশন মধু পরীক্ষাকে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অর্থনৈতিক বিকাশ ও সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্পকে কৌশলগতভাবে ব্যবহারের সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএসএফ।

এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তের বেড়ার কাছে কৌশলগতভাবে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তের বেড়ার কাছে মৌমাছির বাক্সগুলো রাখা হয়েছে। বাক্সগুলো কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে মৌমাছি-বান্ধব ফল ও ফুলের গাছ। এতে একদিকে মৌমাছিদের আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে অন্যদিকে বাক্সগুলো পাবে প্রাকৃতিক ছায়া।

বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কাঁটাতারের পাশেই এমন উদ্যোগ সীমান্ত টপকে ঢুকে পড়া অনুপ্রবেশকারী ও চোরাচালানকারীদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে হুমকি তৈরি করবে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে মৌমাছির ঝাঁকের আক্রমণে যে কেউ গুরুতরভাবে আহত হতে পারে। বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

সীমান্তে ৪০৯৬ কিলোমিটার মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ

আপডেট টাইম : ১১:৫১:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

অনুপ্রবেশ, মানব পাচার, গরু পাচারসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঠেকানোর পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

সোমবার (৬ নভেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে এখবর জানিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সবচেয়ে বেশি কালোবাজারি বা গরু পাচার হয় পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে। তাই পাচার রুখতে দেশটির সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তজুড়ে মৌমাছির চাক বসাচ্ছে বিএসএফ। সীমান্তে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর কাঁটাতারের বেড়ায় মৌমাছির চাক বসানো হচ্ছে। মৌচাক বসানোর এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিএসএফেরে ৩২তম ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে।

জানা গেছে, ভারত সরকার ‘ভাইব্রেন্ট ভিলেজ’ প্রোগ্রামের আওতায় সীমান্তবর্তী এলাকায় মৌমাছি পালন এবং মিশন মধু পরীক্ষাকে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিয়েছে। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর অর্থনৈতিক বিকাশ ও সার্বিক উন্নয়নে এই প্রকল্পকে কৌশলগতভাবে ব্যবহারের সুযোগ হিসেবে দেখছে বিএসএফ।

এই প্রকল্পের আওতায় সীমান্তের বেড়ার কাছে কৌশলগতভাবে মৌমাছির বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্তের বেড়ার কাছে মৌমাছির বাক্সগুলো রাখা হয়েছে। বাক্সগুলো কাছাকাছি স্থাপন করা হয়েছে মৌমাছি-বান্ধব ফল ও ফুলের গাছ। এতে একদিকে মৌমাছিদের আকর্ষণের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে অন্যদিকে বাক্সগুলো পাবে প্রাকৃতিক ছায়া।

বিএসএফের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কাঁটাতারের পাশেই এমন উদ্যোগ সীমান্ত টপকে ঢুকে পড়া অনুপ্রবেশকারী ও চোরাচালানকারীদের জন্য প্রাকৃতিকভাবে হুমকি তৈরি করবে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে মৌমাছির ঝাঁকের আক্রমণে যে কেউ গুরুতরভাবে আহত হতে পারে। বিভিন্ন অপরাধ দমনের পাশাপাশি প্রত্যন্ত এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এ প্রকল্পের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

নিউজ লাইট ৭১