ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০
  • / 89

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এরপরই দুই দেশের পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ব রাজনীতি।

এঘটনায় প্রতিশোধের হুমকি দেওয়ার পরই ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে অন্তত ৮০ মার্কিন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে পাল্টা হামলার জবাব দিতে উতাহ ঘাঁটিতে ৫২টি যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে মার্কিনদের পক্ষ নেওয়া আরব আমিরাত ও ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান।

জানা গেছে, আমেরিকার এফ-৩৫এ মডেলের যুদ্ধবিমান অত্যন্ত দক্ষ ও শক্তিশালী। ‘যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে’-শক্র বিমান এ বিষয়টি বোঝার আগেই সেটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে বেশি এবং এগুলো রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। উচ্চপ্রযুক্তির ক্যামেরার মাধ্যমে পাইলট ককপিটে থেকে বিমানের নিচে ভূমি পর্যন্ত সবকিছুর ছবি ৩৬০ ডিগ্রি কোণে দেখতে পারেন।

স্থানীয় সময় সোমবার উতাহ অঙ্গরাজ্যের হিল এয়ার ফোর্স বেস থেকে যুদ্ধবিমানগুলো মহড়ার প্রস্তুতি নেয়।

৪১৯তম ফাইটার উইংস এক টুইট বার্তায় বলেছে, আমরা ওড়ার জন্য, যুদ্ধ করতে এবং জয়ী হতে প্রস্তুত রয়েছি।

এদিকে সোলেমানিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইসরায়েল আমেরিকার পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দেয়ার পর হুমকি দিয়েছে ইরান।

টেলিগ্রামে রেভল্যুশনারি গার্ড বলেছে, ইরানের ভূমিতে হামলা হলে প্রতিশোধমূলক হামলার তৃতীয় ধাক্কায় লক্ষ্যবস্তু থাকবে আরব আমিরাতের দুবাই ও ইসরায়েলের হাইফা শহর।

এর আগে গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য মার্কিন সেনারা প্রস্তুত।

এরপরই বুধবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে আমেরিকা হামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও হতাহতের বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।

Tag :

শেয়ার করুন

ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

আপডেট টাইম : ১২:২৬:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২০

নিউজ লাইট ৭১ রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের মেজর জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এরপরই দুই দেশের পাশাপাশি উত্তপ্ত হয়ে উঠে বিশ্ব রাজনীতি।

এঘটনায় প্রতিশোধের হুমকি দেওয়ার পরই ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এতে অন্তত ৮০ মার্কিন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে পাল্টা হামলার জবাব দিতে উতাহ ঘাঁটিতে ৫২টি যুদ্ধবিমানের মহড়া চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে মার্কিনদের পক্ষ নেওয়া আরব আমিরাত ও ইসরায়েলে হামলার হুমকি দিয়েছে ইরান।

জানা গেছে, আমেরিকার এফ-৩৫এ মডেলের যুদ্ধবিমান অত্যন্ত দক্ষ ও শক্তিশালী। ‘যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হবে’-শক্র বিমান এ বিষয়টি বোঝার আগেই সেটিকে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই বিমানের। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে বেশি এবং এগুলো রাডারকে ফাঁকি দিতে সক্ষম। উচ্চপ্রযুক্তির ক্যামেরার মাধ্যমে পাইলট ককপিটে থেকে বিমানের নিচে ভূমি পর্যন্ত সবকিছুর ছবি ৩৬০ ডিগ্রি কোণে দেখতে পারেন।

স্থানীয় সময় সোমবার উতাহ অঙ্গরাজ্যের হিল এয়ার ফোর্স বেস থেকে যুদ্ধবিমানগুলো মহড়ার প্রস্তুতি নেয়।

৪১৯তম ফাইটার উইংস এক টুইট বার্তায় বলেছে, আমরা ওড়ার জন্য, যুদ্ধ করতে এবং জয়ী হতে প্রস্তুত রয়েছি।

এদিকে সোলেমানিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইসরায়েল আমেরিকার পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দেয়ার পর হুমকি দিয়েছে ইরান।

টেলিগ্রামে রেভল্যুশনারি গার্ড বলেছে, ইরানের ভূমিতে হামলা হলে প্রতিশোধমূলক হামলার তৃতীয় ধাক্কায় লক্ষ্যবস্তু থাকবে আরব আমিরাতের দুবাই ও ইসরায়েলের হাইফা শহর।

এর আগে গত শুক্রবার ভোরে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হয়েছেন। সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান চরম প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় খুব দ্রুত ও শক্তিশালী হামলা চালানোর জন্য মার্কিন সেনারা প্রস্তুত।

এরপরই বুধবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আল আসাদ এবং কুর্দিস্তানের এরবিলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে অন্তত ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এতে ৮০ মার্কিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।

তবে আমেরিকা হামলার সত্যতা নিশ্চিত করলেও হতাহতের বিষয়ে কোনো বিবৃতি দেয়নি।