ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যা জানালেন ডিএমপি কমিশনার

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০২:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • / 26

এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

তিনি বলেন, এসবের আড়ালে যদি ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ সম্মানিত নাগরিকের জীবন শঙ্কা, মালামালের শঙ্কা দেখা যায় এমন যেকোনো পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, গুজব শুধু এই বিষয়েই নয় দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব) গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সবাই সচেতন। সেসব গুজবে আদৌ কান দেবে না। সেগুলো প্রতিহত করার জন্য সবাই সচেষ্ট থাকব।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুজবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের সঠিক পথে যেতে সক্ষম হব। জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটি শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ।

এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে হয়ে প্রতিহত করা হবে, ইনশাআল্লাহ!

সংবাদ সম্মেলনে এমআরটি পুলিশ প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবির, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

যা জানালেন ডিএমপি কমিশনার

আপডেট টাইম : ০২:৫০:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তবে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

তিনি বলেন, এসবের আড়ালে যদি ঢাকার ২ কোটি ২৪ লাখ সম্মানিত নাগরিকের জীবন শঙ্কা, মালামালের শঙ্কা দেখা যায় এমন যেকোনো পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় মেট্রোরেলের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন গুজব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাবিবুর রহমান বলেন, গুজব শুধু এই বিষয়েই নয় দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে (ফেসবুক, ইউটিউব) গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছে। আমি মনে করি বাংলাদেশের মানুষ, ঢাকা শহরের মানুষ সবাই সচেতন। সেসব গুজবে আদৌ কান দেবে না। সেগুলো প্রতিহত করার জন্য সবাই সচেষ্ট থাকব।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুজবের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। আমরা আমাদের সঠিক পথে যেতে সক্ষম হব। জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হব।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটি শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ।

এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

তিনি বলেন, ২০১৩/১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে হয়ে প্রতিহত করা হবে, ইনশাআল্লাহ!

সংবাদ সম্মেলনে এমআরটি পুলিশ প্রধান ডিআইজি জিহাদুল কবির, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ লাইট ৭১