ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একজন মা হিসেবে বলছি যুদ্ধ বন্ধ করুন

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / 31

জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন পরবর্তী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি একজন নারী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় আমি একজন মা হিসাবে বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ বরব, বন্ধ করেন এই যুদ্ধ। বন্ধ করেন এই অস্ত্রের খেলা, এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা।

মঙ্গলবার নারী উদ্যোক্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহিলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পৃথিবী জুড়ে এক যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাই। কিছুদিন আগে ইউক্রেইন রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার ইসরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ, প্যালেস্টাইনের তো অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে ফেলেছে, সেখানে এই যে যুদ্ধ, এই যুদ্ধ আমরা চাই না।

শক্তিধর দেশগুলোকে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কষ্ট পায় আমাদের মেয়েরা এবং শিশুরা।

আমাদের সবরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি আমার বাবাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর মাকে বন্দি করে। ছোট বোন রেহানা ও ছোটভাইসহ বন্দিখানায় ছিলেন। এমনকি তিনি সে সময় অন্তস্বত্তাও ছিলেন। আমাদের কোনো ফার্নিচার ছিল না, খাবার কি হবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কাজেই যুদ্ধের সময় যে কি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে।’

দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে; কাজেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আছে বলে দেশে গণতন্ত্র আছে, মানুষের অধিকার নিশ্চিত আছে, অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি হচ্ছে, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন এর মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় আমরা নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করতে পেরেছি।

নিজেদের অধিকার আদায় করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু আমাদের অধিকার দাও, অধিকার দাও- এভাবে বললে চলবে না, অধিকার নারীদের আদায় করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান। সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নবনির্মিত জয়িতা ১২তলা আইকনিক টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশব্যাপী নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষে জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হয়।

নিউজ লাইট ৭১

Tag :

শেয়ার করুন

একজন মা হিসেবে বলছি যুদ্ধ বন্ধ করুন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

যুদ্ধ বন্ধের জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নারী ও শিশুরা। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। আমি একজন নারী নেতা বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয় আমি একজন মা হিসাবে বিশ্ব নেতাদের কাছে অনুরোধ বরব, বন্ধ করেন এই যুদ্ধ। বন্ধ করেন এই অস্ত্রের খেলা, এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা।

মঙ্গলবার নারী উদ্যোক্তা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন মহিলা অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা টাওয়ার উদ্বোধন পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে পৃথিবী জুড়ে এক যুদ্ধের দামামা আমরা দেখতে পাই। কিছুদিন আগে ইউক্রেইন রাশিয়ার যুদ্ধ, এখন আবার ইসরায়েল প্যালেস্টাইন যুদ্ধ, প্যালেস্টাইনের তো অর্ধেকের বেশি জায়গা দখল করে ফেলেছে, সেখানে এই যে যুদ্ধ, এই যুদ্ধ আমরা চাই না।

শক্তিধর দেশগুলোকে অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কষ্ট পায় আমাদের মেয়েরা এবং শিশুরা।

আমাদের সবরকম অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭১ সালে পাকিস্তানি আর্মি আমার বাবাকে বন্দি করে নিয়ে যায়। তারপর মাকে বন্দি করে। ছোট বোন রেহানা ও ছোটভাইসহ বন্দিখানায় ছিলেন। এমনকি তিনি সে সময় অন্তস্বত্তাও ছিলেন। আমাদের কোনো ফার্নিচার ছিল না, খাবার কি হবে তার কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। কাজেই যুদ্ধের সময় যে কি ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে অভিজ্ঞতা আমার আছে।’

দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছে বলেই আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে, কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে; কাজেই আমাদের এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আছে বলে দেশে গণতন্ত্র আছে, মানুষের অধিকার নিশ্চিত আছে, অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি হচ্ছে, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন এর মাধ্যমে প্রতিটি জায়গায় আমরা নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করতে পেরেছি।

নিজেদের অধিকার আদায় করে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, শুধু আমাদের অধিকার দাও, অধিকার দাও- এভাবে বললে চলবে না, অধিকার নারীদের আদায় করে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি ও জয়িতা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা খান। সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। স্বাগত বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় নবনির্মিত জয়িতা ১২তলা আইকনিক টাওয়ার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশব্যাপী নারীবান্ধব পৃথক বিপণন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষে জয়িতার কার্যক্রম চালু করা হয়।

নিউজ লাইট ৭১